অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
প্রশাসনের বিভিন্ন সেক্টরে পদ খালি না থাকা সত্ত্বেও কিছু দিন পর পরই গণহারে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে। একটি পদের বিপরীতে যুক্ত হচ্ছেন অনেক কর্মকর্তা। পদবি পেলেও তারা বসার জায়গা পাচ্ছেন না। তাই বড় পদবি নিয়েও আগের পুরনো পদের কাজই করছেন। পদের মর্যাদা অনুযায়ী কাজ না পাওয়ায় এনিয়েও প্রশাসনে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এমন অবস্থায় আজ ফের পদোন্নতি দেয়া হলো পুলিশে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থেকে ৯৬ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়েছে। এর মাধ্যমে এই পুলিশ কর্মকর্তারা বেতন স্কেলের ৫ম গ্রেডে উন্নীত হলেন।
গত সোমবার যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার ১২৮ কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়। অতিরিক্ত সচিবের স্থায়ী পদ ১১১টি হলেও নতুন পদোন্নতিপ্রাপ্তদের নিয়ে এ পদে কর্মকর্তার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬০। পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, নির্ধারিত পদসংখ্যার চেয়ে কর্মকর্তার সংখ্যা বেশি হওয়ায় অধিকাংশ কর্মকর্তাকেই আগের পদেই পদায়ন (ইন সি টু) করা হবে।
এর আগে গত বছরের ২৭ নভেম্বর ৫৩৬ জন কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম-সচিব ও উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল। তারও আগে ওই বছরের মে মাসে এই তিন পদে আরও ২১৭ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। ২০১৫ সালের জুন মাসে উপ-সচিব, যুগ্ম-সচিব এবং অতিরিক্ত সচিব পদে আরও ৮৭৩ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয় সরকার। গত ২৩ এপ্রিল ২৬৭ জন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিবকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেয় সরকার।
জানা যায়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসার পর থেকেই প্রশাসন নির্ভর হয়ে পড়ে সরকার। বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসন। বিরোধীদল যাতে মাঠে নামতে না পারে সেজন্য সরকার র্যাব-পুলিশ ও বিজিবিকে দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। বলা যায় র্যাব-পুলিশই সরকারকে এখন টিকিয়ে রেখেছে। এজন্য র্যাব-পুলিশ ও বিজিবিকে সরকার সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। দেয়া হচ্ছে গণহারে প্রমোশনও।
Discussion about this post