রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের স্বার্থ না দেখে সরকার মিয়ানমারের কাছে দেশের স্বার্থ বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ শুক্রবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন রিজভী।
সরকারের প্রতি প্রশ্ন রেখে রিজভী বলে, মিয়ানমারের সঙ্গে প্রত্যাবাসন চুক্তির পরও প্রতিদিনই রোহিঙ্গারা কেন লাইন ধরে বাংলাদেশ আসছে?
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে জাতিসংঘসহ আর্ন্তজাতিক বিশ্বকে পাশ কাটিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক বা এ্যারেজম্যান্টে স্বাক্ষর করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাতিসংঘসহ দেশি ও আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ চুক্তির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। জাতিসংঘের ইউএনএইচসিআর প্রধান বলেছেন এ চুক্তি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরাও এটাকে ব্যর্থ চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বলে উল্লেখ করেন রিজভী।
তিনি আরো বলেন, মিয়ানমার থেকে ফিরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন-আগামী দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত নেয়া শুরু হবে। কিন্তু কবে নাগাদ নেয়া শেষ হবে তা তিনি বলতে পারছেন না।
তিনি বলেন, সমঝোতা স্মারকের যে প্রস্তাবগুলো রয়েছে তাও অস্পষ্ট। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কিংবা নিরাপত্তার বিষয়টি সেখানে স্পষ্ট করে উল্লেখ নেই।
রিজভী বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তিকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন-এত বড় কূটনৈতিক অর্জন নাকি আর কখনও হয়নি। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য তৃতীয় কোন দেশের প্রয়োজন নেই। এতবড় অর্জন হলো তাহলে এখনও প্রতিদিন রোহিঙ্গারা লাইন ধরে আসছে কেন? জনমানবহীন ভাসানচরে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিলেন কেন? বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার বন্ধুহীন হয়ে পড়ে এখন আবোল-তাবোল বলছে। এতবড় কূটনীতিক পরাজয় দেশের ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি।
তথ্যসূত্র: শীর্ষনিউজ
Discussion about this post