অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
ব্যাপক আর বিস্ময়কর উন্নয়ন উন্নয়ন বলে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা এতদিন ধরে যে চাপাবাজি আর গলাবাজি করে আসছে, এবার এসব নিয়ে হাটে হাড়ি ভেঙ্গে দিলেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা।
সরকারের ব্যাপক উন্নয়নে বিএনপি-জামায়াত দিশেহারা। দেশের জনগণ যখন উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে তখনই এই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সরকারের উন্নয়ন ঠেকাতে তারা হরতাল-অবরোধের নামে মানুষ ও গাড়ি পুড়িয়ে নাশকতা সৃষ্টি করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা দীর্ঘদিন ধরে এমন বক্তব্যই দিয়ে আসছে। এমনকি এসব ভাসমান উন্নয়নকে বিস্ময়কর আখ্যা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও স্ত্রীকে এই উন্নয়ন দেখে যেতে বাংলাদেশে আসারও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে, বিএনপি-জামায়াতের পক্ষ থেকে বরাবরই বলা হচ্ছে যে সরকার উন্নয়নের নাম করে লুটপাটে ব্যস্ত। আর সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের দুর্নীতি-লুটপাট নিয়ে এখন প্রায় প্রতিদিনই সংবাদপত্রে নিউজ ছাপা হচ্ছে। কিন্তু, সরকার এসব অভিযোগ সব সময়ই অস্বীকার করে আসছে। এবার উন্নয়নের নামে সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাট নিয়ে মুখ খুলেছেন রাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি।
মঙ্গলবার রাতে টাঙ্গাইলে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা বলেছেন, বর্তমানে উন্নয়ন প্রকল্পে একশ টাকার মধ্যে ৪০ টাকার কাজ হয়। আর বাকী ৬০ টাকার কোনো হদিস থাকে না। এটা হলো বর্তমানে দেশের বাস্তব চিত্র।
প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা তার এ বক্তব্যের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন নিয়ে হাটে হাড়ি ভেঙ্গে দিয়েছেন বলে মনে করছেন সচেতন মানুষ। আর রাজনীতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রধান বিচারপতি এবার সরকারের নাড়ী ধরে টান দিয়েছেন। সরকারের দুর্নীতি-দু:শাসনের বাস্তব চিত্রটিই তিনি তুলে ধরেছেন।
তারা মনে করছেন, বিদেশে ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচারের যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে এগুলো সবই রাষ্ট্রীয় সম্পদ। বিগত আট বছরে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নামে যে লুটপাট ও দুর্নীতি করে যে টাকা জমা করেছিল, সবই তারা বিদেশে পাচার করেছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী এখন সাধু সাজার চেষ্টা করছেন।
অন্যদিকে ফ্লাইওভার নির্মাণেও লুটপাটের পসরা সাজিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। নির্মান কাজ সরকার পরিকল্পিতভাবেই নির্ধারিত সময়ে শেষ করেনি। লুটপাট করতেই সময়ের সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে পাঁচ দফা নির্মাণ ব্যয়। এ প্রকল্প থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। এখন আবার উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় নির্মাণ ব্যয়ও ধরা হয়েছে কয়েকগুণ বেশি।
Discussion about this post