নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি ভারতে গিয়েছেন। আমরা ভেবেছিলাম তিনি দেশের মানুষের জন্য পানি নিয়ে আসবেন। কিন্তু তিনি শূন্য হাতে ফিরে আসলেও হাওড় অঞ্চল পানিতে ভাসছে। সেখানকার প্রান্তিক কৃষকেরা তাদের সহায়-সম্বল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে গেছে।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে কিশোরগঞ্জ জেলার হাওড় এলাকাসহ প্লাবিত সকল হাওড় অঞ্চলকে দূর্গত ঘোষণার দাবিতে আয়োজিত নাগরিক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান মান্না এ কথা বলেন।
মান্না আরো বলেন, নদী শাসন না থাকার কারণে আজকে আমরা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। সুনামগঞ্জ-কিশোরগঞ্জ-নেত্রকোনা-হবিগঞ্জসহ যে সমস্ত হাওড় এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তাদের পাশে রাষ্ট্রের এখনই দাঁড়ানো উচিত। তাদের কৃষি ঋণ মওকুফ করে নতুন করে আবার আবাদ করতে পারে সেই ব্যবস্থা কৃষি মন্ত্রণালয় যদি করে তাহলে দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমরা খুশী হবো।
মাহমুদুর রহমান মান্না আরো বলেন, আমাদের দেশের দুই নেত্রী তাদের নির্দেশের বাইরে একটি গাছের পাতাও নড়ে না। এমনকি তাদের নেতাকর্মীরা জোরে কাশি দেয় না, নেত্রী বিরক্ত বা ঘুম ভেঙে যেতে পারে। সেখানে হাওড় অঞ্চলে এতবড় ক্ষতি হলো কারো কি নজরে কাড়লো না।তিনি অবিলম্বে হাওড় অঞ্চলকে দুর্গত অঞ্চল ঘোষণা করার জোর দাবি জানান।
সংগঠনের সভাপতি মো. ওমর ফারুক সেলিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান তামান্না, বাসদের কেন্দ্রীয় সদস্য আবদুর রাজ্জাক, এনডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন সাংবিধানিক অধিকার ফোরামের সভাপতি সুরঞ্জন ঘোষ, কিশোরগঞ্জের বিশিষ্ট সমাজসেবক অধ্যাপক তোফাজ্জল হোসেন বাদল, বন্ধু দলের সভাপতি শরীফ মোস্তফা জামান লিটু, গণ ঐক্যের সভাপতি আরমান হোসেন পলাশ, সচেতন নাগরিক সংহতির সভাপতি হাবিবুর রহমান বিপ্লব প্রমুখ।
ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা জেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্লাবিত হয়ে কৃষকদের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। হাওড় অঞ্চলের দুর্গত মানুষরা জীবন যুদ্ধে হিমশিম খাচ্ছে। অথচ এখনো তাদের পাশে কেউ নেই।
সূত্র: নয়াদিগন্ত
Discussion about this post