দেশে জঙ্গিবাদ ভারতীয় ‘র’ এর প্ররোচনায় হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তি যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর সৃষ্টি। তারা এখন বাংলাদেশে জঙ্গি খেলা চালিয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউশন মিলনায়তনে এক প্রতিবাদী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
১১ এপ্রিল ২০১৭ দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা বন্ধের ৪ বছরউপলক্ষে এ প্রতিবাদী সভার আয়োজন করে আমারদেশ পরিবার নামের একটি সংগঠন।
শেখ হাসিনাকে ১৯ সালের নির্বাচনে জিতিয়ে দিতেই যা খুশি তাই করাচ্ছে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী উল্লেখ করে তিনি বলেন, মরে লাখে লাখে, শেষে দেখা যায় ওই আস্তানায় দুই জঙ্গি শিশু মরে আছে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গ টেনে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার ভারত সফরে দেশের তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য অর্জন হয়নি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত গেলেন তবে তিস্তা নিয়ে কোনো নিয়ে কোনো কথা বলেতে দেখিনি। ভারত যে একটা হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে যাচ্ছে, সেখানকার সংখ্যা লঘুদের নির্যাতনের ব্যাপারে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোনো কথা বলেননি।
সীমান্তের পাখির মতো গুলিকরে মানুষ হত্যা বন্ধের কোনো প্রতিশ্রুতি আনতে পারেনি। এটা আনতে পারলেও দেশের জন্য বড় একটা অর্জন হতো বলেও উল্লেখ করেন মুক্তিযুদ্ধের এই সংগঠক।
তিনি বলেন, ভারত তাদের স্বার্থের জন্যেই সামরিক চুক্তি করেছে। বাংলাদেশের জঙ্গি কর্মকাণ্ড চলমান রাখতেই অস্ত্র আনার চুক্তি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
পৃথিবীতে কতভাগ মানুষ মানসিক অবসাদে ভোগেন এ বিষয়ে জরিপ প্রকাশ হয়েছে জানিয়ে বিএনিপপন্থী এই বুদ্ধিজীবী বলেন, এই অবসাদ এখন পেয়ে বসেছে বিএনপিকেও। বিএনপিকে এই অবসাদ কাটিয়ে গা ঝাড়া দেয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
বিএনপি ঘুমিয়ে আছে এমন মন্তব্য করে জাফরুল্লাহ বলেন, দলের কাউন্সিল হয়ে গেছে এক বছর হলো, এখনো এক নেতার এক পদের নীতি কার্যকর হয়নি। এখনো অনেকে দুইপদে আছেন।
বিএনপি নেত্রী তার দলীয় নানা সভা, বৈঠক বা আলোচনা রাতে করারও সমালোচনা করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের এখন যাত্রা শুরু হয় রাত নয়টা থেকে। তিনি তো জনগণের নেত্রী। তিনি সকালে নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ দেয়া শুরু করতে পারেননি। এটা মেনে নেয়া যায় না।
দেশের চার থেকে ছয় কোটি মানুষ খালেদা জিয়ার উপর আস্থা রাখছে- এমন দাবি করে জাফরুল্লাহ বলেন, এমন আস্থা আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের উপরও ছিল। কিন্তু তাকে আমরা গ্রেপ্তারের হাত থেকে রক্ষা করতে পারিনি। তাই এই অবস্থায় খালেদা জিয়াকে মওলানা ভাসানীর দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত আছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ফরহাদ মজহার, অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ সহ বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবীসহ আরো অনেকে।
সূত্র: আরটিএনএন
Discussion about this post