অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
কথিত উন্নয়নের আড়ালে শেখ হাসিনা ও তার নেতাকর্মীরা যে কি করছে সেটা নতুন করে আর বলার কিছু নাই। ১ যুগ ধরে তারা দেশের সম্পদ লুটেপুটে খাচ্ছে ও বিদেশে পাচার করছে। আমলা-কামলা আর মন্ত্রী-এমপিদের বিদেশে টাকা পাচার নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত বিব্রতবোধ করেছেন। আর এসবের কিছুটা শিকারও করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
গত ১২ জানুয়ারি শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘উন্নয়ন প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদনের খসড়া রূপরেখা চূড়ান্তকরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন-দেশে টিমওয়ার্কের মাধ্যমে দুর্নীতি হচ্ছে। এই টিম কারা সেটাও দেশবাসী জানে। আওয়ামী লীগ নেতা আর সরকারের আমলারা মিলেই তৈরি হয়েছে দুর্নীতির এই টিম।
দেখা গেছে, খোদ শেখ হাসিনার অনুমতি নিয়েই বিদেশে টাকা পাচার করছে আওয়ামী লীগের এমপিরা। নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল নিজেই বেসরকারি একটি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকালে একথা বলেছেন।
শেখ হাসিনার এই এমপি শিমুলের স্ত্রী শামীমা সুলতানা জান্নাতী কানাডার টরেন্টোতে প্রায় ১৩ কোটি টাকা দিয়ে একটি আলিশান বাড়ি কিনেছেন। এছাড়া নাটোরেও আরেকটি আলিশান বাড়ি নির্মাণ করছেন। নির্মাণ কাজের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা বলছেন ইতিমধ্যে ১০ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়ে গেছে। নির্মাণ কাজ শেষ করতে আরও কয়েক কোটি টাকা লাগবে।
হঠাৎ করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া এমপি শিমুলকে নিয়ে শুধু নাটোরে নয়, কানাডাতেও চলছে ব্যাপক সমালোচনা। সবার প্রশ্ন একটাই-একজন এমপি এত টাকার মালিক হলেন কি করে?
এমপি শিমুল বলেছেন-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়েই আমরা বাইরে টাকা পাঠাই। তাহলে এমপি শিমুলের এই স্বীকারোক্তিই প্রমাণ করে-সব টাকা পাচারের সাথে শেখ হাসিনা জড়িত। পাচারকৃত সব টাকা থেকেই ভাগ পাচ্ছে শেখ হাসিনা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষমতাসীনরা বাজেট বাড়িয়ে মানুষের পকেট কেটে কর আদায় করছে অন্যদিকে নিজ দলের নেতাদের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার করছে। শুধু শিমুল নয় এর আগে এমপি পাপুলসহ বিভিন্ন এমপিরা সরকারের সহায়তায় টাকা পাচার করছে। যখন এসব বিষয়ে গণমাধ্যমে চলে আসে তখন তাকে ভিলেন বানিয়ে বাকিদের বাঁচিয়ে দেয়া হয়।
Discussion about this post