অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিবাহিত করেছে বাংলাদেশ। ২৬ মার্চ শুক্রবার গৌরবের সেই ৫০ বছর পূর্ণ হল। ৫০ বছর কোনো একটি জাতি বা দেশের জন্য একেবারে কম সময় নয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বাঙালিদের উপর বর্বরোচিত ও নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল পাকিস্তানি সৈন্যরা। ওই রাতেই পাক সেনাদের হাতে সেচ্ছায় গ্রেফতার হন বাংলার কথিত মুক্তির নায়ক শেখ মুজিব। তার দলের নেতারাও জীবন বাঁচাতে রাতের আধারে পালিয়ে যায় ভারতে। পাক সেনাদের অতর্কিত হামলায় বাংলার সারাদেশ মানুষ যখন কোনো দিক নির্দেশনা পাচ্ছিল না, ঠিক তখন পরের দিন ২৬ মার্চ সকালে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন মেজর জিয়াউর রহমান। তার ডাকে সারা দিয়ে পাক সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে বাংলার নারী-পুরুষ।
কিন্তু জাতির জন্য বড় দুর্ভাগ্য যে সেই স্বাধীনতার সব অর্জন আজ দখলে নিয়েছে ভারতের তাবেদার আওয়ামী লীগ।
ইতিহাস সাক্ষী-আওয়ামী লীগ নেতারা সেদিন মুজিবের কোনো নির্দেশনা না পেয়ে ভারতে চলে যায়। সেখানে গিয়ে তারা নারী নিয়ে আমোদ ফূর্তি করে। আর বাংলার সাধারণ মানুষ জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য পাক সেনাদের সাথে যুদ্ধ করে।
অথচ, শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে চরম মিথ্যাচার করে বলেছেন-২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে নাকি আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে পাক সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে এমন মিথ্যাচার শেখ হাসিনা কিভাবে করলো সেটাই এখন প্রশ্ন।
আরও লক্ষণীয় বিষয় হলো-স্বাধীনতার জন্য দেশের লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে। পঙ্গু হয়েছে আরও হাজার হাজার নারী-পুরুষ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবটাও শেখ হাসিনা তার দলের একক দখলে নিয়ে গেছে। সুবর্ণজয়ন্তীর নামে শেখ হাসিনা তার বাবা শেখ মুজিবের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। বিগত ১০ দিন ধরে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা খরচ করে মুজিব প্রদর্শনী করে আসছে সরকার।
দেশবাসীর ধারণা ছিল-৫০ বছরের উৎসবটা সরকার সকল রাজনৈতিক দল ও সর্বস্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে পালন করবে। কিন্তু সেটা হল না। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীকে শেখ হাসিনা আওয়ামী উৎসবে পরিণত করেছে। এই উৎসবে মুজিব বন্দনা ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না।
এমনকি স্বাধীনতার ঘোষক ও সেক্টর কমান্ডার সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দল বিএনপিকে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে একটি র্যালি করারও অনুমতি দেয়নি ফ্যাসিস্ট হাসিনা।
আর শুক্রবার সুবর্ণ জয়ন্তীর যে অনুষ্ঠান হবে সেটাতেও থাকছে মুজিব প্রদর্শনী। এই অনুষ্ঠানের আলোচনার মূল বিষয়ই হবে মুজিব বন্দনা। সহজ কথায় বলা যায়-স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবটাকে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পরিণত করেছে। যেখানে শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো শব্দ নাই।
Discussion about this post