অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
খুন-হত্যা, দুর্নীতি-লুটপাট, গুম-অপহরণ, নারী নির্যাতন-ধর্ষণের ঘটনায় চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন শেখ হাসিনা। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া ধর্ষণ-গণধর্ষণের প্রতিবাদে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। দেখা গেছে, এসব ধর্ষণের সাথে জড়িতদের অধিকাংশই সরকারি দল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও কৃষকলীগের নেতাকর্মী।
পরিস্থিতির আলোকে মনে হচ্ছে, সারাদেশে গড়ে উঠা ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন এখন সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নিচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের বক্তব্য থেকেও এমনটা বুঝা যাচ্ছে।
সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া ধর্ষণকাণ্ড থামাতে এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোর আন্দোলন বন্ধে সরকার যখন হিমশিম খাচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এসেছে একটি দু:সংবাদ। সংবাদটিও যেনতেন সংবাদ নয়। শেখ হাসিনার মসনদ টিকে থাকা না থাকার প্রশ্ন।
কি সেই দু:সংবাদ?
সম্প্রতি সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। এই ফোনালাপটি প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বাংলাদেশি সাংবাদিক কনক সারোয়ার। যেটি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে বেড়াচ্ছে।
জেনারেল আজিজ আহমেদ কার সঙ্গে কথা বলেছেন ওই ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া না গেলেও, কথা শুনে বুঝা যাচ্ছে ওই ব্যক্তি সাবেক কোনো সেনা অফিসার হবে।
আজিজ আহমেদ ওই ব্যক্তিকে বলেছেন, বিজিবিতে থাকাকালীন বিভিন্ন পেশার মানুষের সাথে তার একটা সার্কেল তৈরি হয়েছে। এখানে সাংবাদিক, বড় বড় পত্রিকার সম্পাদকও রয়েছে। একদিন একটি পত্রিকার সম্পাদক তার অফিসে এসে বললেন-সেনাবাহিনী নিয়ে নানান ধরণের কথা শুনা যাচ্ছে। আপনি কি ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন? আর যদি এমন কিছু হয় তাহলে কমপক্ষে বিএনপিকে ক্ষমতা দিয়েন না।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সেনাপ্রধানের ফোনালাপ ফাঁসের খবর গণভবনেও পৌছেছে। শেখ হাসিনা নিজেও এটা শুনেছেন। এনিয়ে শেখ হাসিনা তার নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে কথাও বলেছেন।
জানা গেছে, সেনাপ্রধানের এই ফোনালাপ ফাঁসের পর থেকেই শেখ হাসিনাও আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তাদের দিন কাটছে খুব উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে। ইতিমধ্যে শেখ হাসিনা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে বিষয়টি খতিয়ে দেখারও নির্দেশ দিয়েছেন।