অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশে যে কয়টি রাজনৈতিক দল ও কিছু নেতা চরম ইসলা বিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত, তাদের মধ্যে অন্যতম হলো ওয়ার্কার্স পার্টি। আর গণবিচ্ছিন্ন ও নামসর্বস্ব এই দলটির মুসলিম নামধারী নেতাকর্মীরাও চরম ইসলাম বিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত। মুসলমানের নাম ধারণ করে মূলত তারা দীর্ঘদিন ধরে এদেশ থেকে ইসলামী আদর্শ, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও আল্লাহ-রাসুলের নাম মুছে ফেলার জন্য বিভিন্নভাবে চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করে আসছে।
বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নাম তারা শুনতেই পারে না। কারণ, সংগঠন দুইটি এদেশে একটি ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করে যাচ্ছে। আল্লাহর কুরআন ও রাসুলের সুন্নাহর আলোকে একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কাজ করে যাচ্ছে। যার কারণে, এই নষ্ট কমিউনিস্টগুলো একমাত্র জামায়াত-শিবিরকে প্রধান শত্রু মনে করে।
আর তাদের সবচেয়ে গাত্রদাহ হলো জামায়াত-শিবিরের লোকদের দ্বারা গড়ে উঠা সামাজিক, শিক্ষা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে। একটি সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গড়ার জন্য এবং এদেশের তরুন-তরুণীদের সুনাগরিক ও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তারা নিজেরা কিছুই করে না। আবার অন্যেরা কিছু করলে সেটাও সহ্য করতে পারে না। বামপন্থী এই নষ্ট কমিউনিস্টগুলো শুধু ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রু নয়, তারা দেশ এবং সমাজেরও বড় শত্রু।
রাজশাহীতে যে কয়টা ভাল মানের স্কুল আছে, তার মধ্যে অন্যতম হল মসজিদ মিশন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ। ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে পরিচালিত হয়ে আসছে। এটা অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো শুধু পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করার জন্যই ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শিক্ষা দেয় না, তাদেরকে আদর্শ মানুষ হিসেবেও গড়ে উঠার শিক্ষা দেয়া হয়। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সুনাগরিক ও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যার কারণে, অল্প দিনেই প্রতিষ্ঠানটি রাজশাহী বাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে।
কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় হলো-ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি আজ ধ্বংসের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে রাজশাহী সদরের বিনাভোটের এমপি ও নষ্ট কমিউনিস্টদের দল ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।
গণবিচ্ছিন্ন ও জনসমর্থনহীন বাদশা রাজশাহী বাসীর সমর্থন না পেয়ে সরকারের দালাল মিডিয়াগুলোকে কুপরামর্শ দিয়ে ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে উস্কে দিচ্ছে। দালাল মিডিয়াগুলো গত কিছু দিন ধরে মসজিদ মিশন একাডেমি স্কুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা, অসত্য, ভিত্তিহীন ও ভুয়া নিউজ করে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংসদে নির্বাচনে বাদশা সব সময়েই জামানত হারিয়েছে। অবশেষে শেখ হাসিনার নৌকায় উঠে বিনাভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছে।
এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরই বাদশা আত্মসাত আর লুটপাটে লিপ্ত হয়ে পড়ে। বিগত দিনগুলোতে ফজলে হোসেন বাদশা রাজশাহী সদরের উন্নয়নের চেয়ে নিজের ও পরিবারের উন্নয়ন করেছে বেশি। বাদশা নিজেই জানেন যে, ভবিষ্যতে এমপি হওয়ার আর সুযোগ নেই। তাই লুটপাট যা করার এখনই করতে হবে। বাদশার ক্ষমতার অপব্যবহার ও লুটপাটের কারণে রাজশাহীর মানুষ এখন তার উপর প্রচণ্ড ক্ষুব্দ। তাকে সাইজ করার জন্য মানুষ এখন শুধু সুযোগের অপেক্ষায় আছে।
নিজের সীমাহীন অপকর্ম ঢাকতে ও শেখ হাসিনাকে খুশী রাখতে বাদশা এখন ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মসজিদ মিশন একাডেমি স্কুলের বিরুদ্ধে লেগেছে। গণমাধ্যমের কাছে সে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বলছে-এই স্কুল নাকি জামায়াত-শিবিরের ঘাটি। এখানে বসে নাকি জামায়াত-শিবিরের লোকেরা নাশকতার মিটিং করে। এইভাবে মিথ্যাচার করে বাদশা ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটির সুনাম নষ্ট্ করে যাচ্ছে।
এমপি বাদশার এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে রাজশাহীর মানুষ। তারা বলছেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাদশা হয়তো সাময়িক সুবিধা নিতে পারবে, কিন্তু আখেরে এগুলো তার জন্য বিপদ হয়ে দাড়াবে। অবৈধ এমপি হওয়ার কারণে আজকে প্রশাসন ও সরকার তাকে সাপোর্ট দিচ্ছে। ক্ষমতাসীনদের সাথে থাকার কারণে আজকে যা খুশী তাই করছেন। কিন্তু সেই দিন খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন তাকে এমপি পদ ছেড়ে সাধারণ মানুষের কাতারে দাড়াতে হবে। রাজশাহীর মানুষ যখন তাকে প্রতিরোধ করার জন্য রাস্তায় নেমে আসবে তখন আওয়ামী লীগ আর পুলিশ এগিয়ে আসবে না তাকে বাচানোর জন্য। এজন্য বাদশাকে এখনই হিসাব নিকাশ করে সব কিছু করা উচিত। অন্যথায় ভবিষ্যতে এসব অপকর্মের জন্য তাকে চরম খেসারত দিতে হবে।