বুধবার, নভেম্বর ৫, ২০২৫
Analysis BD
No Result
View All Result
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home Home Post

অবরুদ্ধ খালেদাকে যেভাবে নিরাপত্তা দিয়েছিল জামায়াত!

মে ১১, ২০১৯
in Home Post, slide, মতামত
Share on FacebookShare on Twitter

জুনায়েদ আব্বাসী

শিরোনামটা দেখে আপনার কাছে নিশ্চয় অদ্ভুত মনে হচ্ছে। আর বিষয়টি অদ্ভুত মনে হওয়া স্বাভাবিক। কারণ, খালেদা জিয়া এদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। সবচেয়ে বড় একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান। শেখ হাসিনা প্রতিদিন তাকে দুর্নীতিবাজ, অশিক্ষিত ও খুনি বলে গালি দিলেও আসলে খালেদা জিয়াই এদেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। সরকারের বাইরে থেকেও তিনি যথেষ্ট নিরাপত্তা পেয়েছেন। পুলিশ ছাড়াও তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীও রয়েছে। এছাড়া দলীয় লোকজনতো আছেনই। এরমধ্যে আবার জামায়াতকে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা দিতে হবে কেন? আর খালেদা জিয়াও জামায়াতের নিরাপত্তা নেবে কেন? এমন প্রশ্ন সৃষ্টি হওয়াই স্বাভাবিক।

বিষয়টা একটু খোলাসা করলেই সব প্রশ্নের জবাব পাঠকরা পেয়ে যাবেন। খালেদা জিয়ার একটা বিশেষ ক্রাইসিস মুহূর্তে পর্দার আড়াল থেকে নিরাপত্তার দিকটাসহ সার্বিক খোঁজ খবর রাখতেন জামায়াতের শীর্ষনেতারা। সময়টা ছিল ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত টানা ৩ মাস অবরোধের সময়। ওই সময় খালেদা জিয়া তার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ছিলেন।

৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় টানা অবরোধের ঘোষণা দেয়ার পর ওই দিন প্রেসক্লাবে ঢুকে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরের দিন আওয়ামীপন্থী সাংবাদিক নেতারা তাকে প্রেসক্লাব ছাড়তে বাধ্য করেন। প্রেসক্লাবের গেট থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর ক্রমান্বয়ে বিএনপির আরও কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে আটক করে পুলিশ। আর বাকীরা চলে যায় আত্মগোপনে। তবে, খালেদা জিয়ার ডাকে সাড়া দিয়ে অবরোধ সফল করতে মাঠে নেমে আসে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। আর মাঠে নামার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। তারা শুধু খালেদা জিয়ার ঘোষণার অপেক্ষা করছিল।

সরকারবিরোধী আন্দোলনে যখন সারাদেশ উত্তাল, তখন গুলশানের কার্যালয়ে আটকা পড়েন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপি নেতাকর্মীরা তখন গুলশানের কার্যালয়ে প্রবেশ করাতো দূরের কথা গুলশানের কোনো রাস্তায় তারা নামতে পারেনি। তখন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কেউ গুলশান কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেনি।

ওই সময় দেখা গেছে, অবরোধের তৃতীয় দিন সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের উত্তর পাশের সড়কের পূর্ব মাথায় স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই সময় ছাত্রলীগ-যুবলীগের সঙ্গে অন্য আরেকটি গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছিল। তাৎক্ষণিকভাবে ওই গ্রপটির পরিচয় জানা না গেলেও পরে জানা গেছে তারা জামায়াত-শিবিরের লোক ছিল।

যেভাবে নিরাপত্তায় ছিল জামায়াত

টানা অবরোধের সময় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী-এমপির নেতৃত্বে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় ঘেরাওয়ের চেষ্টা করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার অফিসে কয়েক দফা হামলাও চালানো হয়েছে। এমনকি একজন মুক্তিযোদ্ধা অস্ত্র হাতে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের গেটের সামনে গিয়ে খালেদা জিয়াকে গালাগালি করেছেন। র‌্যাব-পুলিশসহ সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেছে। এমন আরও বহু ঘটনা তখন ঘটেছে।

তবে, প্রতিদিন কারা খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে যেতো, সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা গুলশান কার্যালয় ঘেরাও করতে গিয়ে কখন কোন সড়কের কোথায় অবস্থান নিতো সব খবরই রাখতেন জামায়াতের শীর্ষনেতারা। গোয়েন্দা সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে জামায়াত-শিবিরের কয়েকজন লোক পালা বদল করে সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত গুলশান কার্যালয়ে সামনে অবস্থান করতেন। জামায়াতের একটি মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক ওই এলাকায় অবস্থান করতো।

বিষয়টিকে সরাসরি তদারকি করতেন তৎকালীন ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম বুলবুল। আর স্থানীয়ভাবে সমন্বয় করতেন বাড্ডা, গুলশান ও বনানী এলাকার জামায়াতের ৬ জন দায়িত্বশীল। বিশেষ কারণে- এখানে ওই ছয়জনের নাম উল্লেখ করা গেল না।

দেখা গেছে, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান যেদিন দল বল নিয়ে খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাও করার জন্য গিয়েছিলেন সেদিন গুলশানের বিভিন্ন এলাকায় জামায়াত-শিবিরের অনেক নেতাকর্মীকে চলাফেরা করতে দেখা গেছে। কথা বললে একজন জানিয়েছিলেন, তারা উপরের নির্দেশে এসেছেন। কেউ যদি খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে আক্রমণ করার চেষ্টা করে তাহলে তারাও প্রতিরোধ করবেন। এভাবে তারা পুরো তিন মাস নিজেদের লোক দিয়ে গুলশান এলাকার সব খবর নিতেন এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্যও প্রস্তুত থাকতেন।

পরবর্তীতে স্থানীয় একজন সমন্বয়কের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান- খালেদা জিয়া তাদের জোটের শীর্ষনেতা। তিনি শুধু গণতন্ত্র এবং মানুষের অধিকার আদায়ের জন্যই আজ সরকারের রোষানলের শিকার। জোটের অন্যতম শরিক হিসেবে তার বিষয়টি দেখাও আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তার প্রতি ভালবাসা, বিশ্বাস এবং আস্থা থেকেই আমরা এ ব্যবস্থা নিয়েছিলাম।

সম্পর্কিত সংবাদ

Home Post

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫
Home Post

সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

আগস্ট ১০, ২০২৫
Home Post

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

মে ৩১, ২০২৫

জনপ্রিয় সংবাদ

  • রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর: ১৫ বছর পরেও বেপরওয়া খুনিরা, সুবিচার পায়নি শহীদ পরিবার

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • Trademark Web based poker Crazy Expensive diamonds Gambling enterprise Video slot Genuine Imitation Financial

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • পাহাড়ে পরিকল্পিতভাবে বাঙালি উচ্ছেদ ও ডি ইসলামাইজেশন করা হচ্ছে

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • Tagesordnungspunkt Spielbank Maklercourtage Ohne Einzahlung 2024

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫

সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

আগস্ট ১০, ২০২৫

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

মে ৩১, ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মে ২১, ২০২৫

ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

মে ২১, ২০২৫

© Analysis BD

No Result
View All Result

© Analysis BD