অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
তিউনিসিয়ায় আরব বসন্তের পর হওয়া প্রথম পৌর নির্বাচনে আন নাহদা পার্টি সর্বাধিক ভোট লাভ করেছে। ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট জয়নুল আবেদীন বিন আলীর পতনের পর এবারই প্রথম স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হলো। এই নির্বাচনে আন নাহদা ২৭.৫ শতাংশ ভোট লাভ করে। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে নিদা তোওনেস দল, যারা পেয়েছে ২২.৫ শতাংশ ভোট। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল অবশ্য ঘোষনা হবে আগামী ৯ মে।
এবারের নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার ছিল খুবই কম। তিউনিসিয়ার নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, মাত্র ২১ শতাংশ ভোটার এবারের নির্বাচনে তাদের ভোট প্রয়োগ করেছে। যদিও নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট কাইদ এসেবসি বেশ ভাল সংখ্যক ভোট প্রদানের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। তবে জনগন সেভাবে এই নির্বাচনে সাড়া দেয়নি।
কেন জনগন সেভাবে সাড়া দিলনা, সেটা নিয়ে অনেকেই অনেকভাবে বিশ্লেষন করছেন। তবে সংশ্লিষ্ট মহল বলছেন, নির্বাচনের মাত্র দিন কয়েক আগে ১মে, সরকার ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরনের নামে স্থানীয় সরকার আইনকে সংশোধন করেছে যা জনগনকে বেশ সংশয়ের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
এর আগে দেশটিতে ১৯৭৩ সালের স্থানীয় সরকার আইন বলবৎ ছিল যা স্থানীয় সরকারকে আর্থিক ও প্রশাসনিকভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়নি। এর আগে ২০১১ সালে তিউনিসিয়াতে সংসদ ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হলেও স্থানীয় সরকার ও পৌর নির্বাচনটি বিলম্বিত হয়।
যে কয়টা ইস্যুতে তিউনিসিয়াতে আরব বসন্ত সংঘঠিত হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল শক্তিশালী সংবিধান ও স্থানীয় নির্বাচন। তবে যেই দুর্নীতির দায়ে বিন আলী সরকারকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল সেই দুর্নীতি, বেকারত্ব এবং দারিদ্রতা তিউনিসিয়াতে এখনো বিদ্যমান।