• যোগাযোগ
সোমবার, জুন ২৩, ২০২৫
Analysis BD
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home Home Post

আন্দোলনে স্বৈরাচারের ছোবল ও কিছু আশার আলো

এপ্রিল ১২, ২০১৮
in Home Post, slide, মতামত
Share on FacebookShare on Twitter

মুসাফির রাফি

কথায় আছে, অভাগা যেদিকে চায়, সাগর শুকিয়ে যায়। আর আমাদের দেশের অবস্থা হলো, স্বৈরাচার যেদিকে চায়, প্রতারনা দিয়েই শেষ হয়।

শেষ পর্যন্ত আপাতদৃষ্টিতে হার মানলো সরকার। বিগত কয়েকদিন ধরে সাধারন ছাত্রছাত্রীরা দেশজুড়ে কোটা সংস্কারের দাবীতে যে ব্যপক গনভিত্তিক আন্দোলন গড়ে তুলেছিল, গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্রুদ্ধ আশ্বাসের প্রেক্ষিতে তা স্তিমিত হয়ে আসে। আর আজ সকালে প্রেস কনফারেন্স করে আন্দোলনকে স্থগিত করার ঘোষনা দেয়া হয়।

বাহ্যত মনে হবে, আন্দোলনে ছাত্রছাত্রীরা জিতেছে। তবে কার্যত জিতেনি। বল সরকার তার কোর্টে নিয়ে রেখেছে। এমন একটি চাল প্রধানমন্ত্রী চেলেছেন, সকলেই বুঝতে পেরেছেন, সংকটের সুরাহা হলোনা, কিন্তু তারপরও আন্দোলন করার অবস্থাও আর বিদ্যমান নেই। কোটায় সংস্কার চেয়েছিলো আন্দোলনকারীরা, প্রধানমন্ত্রী তা করতে রাজি হননি। তিনি কোটা বাতিল করে দিয়েছেন। সংবিধানে কোটা থাকার বিধান আছে, এটা জেনেও প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিল করে দিলেন। এতটা বোকামি তিনি জেনে বুঝেই করেছেন যাতে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক চাপিয়ে নির্বাহী বিভাগের প্রধান হিসেবে দেয়া তার সিদ্ধান্তটিকেই পরবর্তীতে স্থগিত করে দেয়া যায়। আবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক আইনমন্ত্রী এই কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তকে জনগনের বিজয় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। একটা রিট করলেই যে প্রধানমন্ত্রীর বচনটি বাতিল হয়ে যাবে- এত বড় আইনজ্ঞ হয়েও কি তিনি জানেন না। কে কি উদ্দেশ্যে কি বলে, আসলেই বোঝা যায়না।

আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের গেজেট প্রকাশের দাবী জানিয়েছে। কিন্তু শুধু গেজেট দিয়েও সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে হয়না। শেখ মুজিবের ছবি টানিয়েও যেমন আন্দোলনকারীরা রাজাকার উপাধি লাভ করা থেকে বাঁচতে পারেনি তেমনি শেখ হাসিনাকে মাদার অব এডুকেশন বানিয়েও তারা শান্তিতে থাকতে পারবেনা। আজ সকালেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩৫ জন ছাত্রকে বের করে দিয়েছে, হয়তো আরো অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ছাত্রলীগের দানবেরা আন্দোলনকারীদের বের করে দেবে। ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা দেয়ার মতও কেউ থাকবেনা।

প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী তার গতকালের দেয়া ভাষনের বহুজায়গাতেই আন্দোলনকারীদের সাথে প্রতারনা করেছেন। তিনি দাবী মেনে কোটা বাতিল করেছেন, কিন্তু সেটা করেছেন তার স্বভাবসুলভ বাচনভংগিতেই। রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর পদের যে ওজন থাকে কিংবা যতটা দায়িত্ব নিয়ে তার কথা বলা উচিত ছিল, সেটা তার ভাষনে আমরা পাইনি। তিনি দাবী মেনেছেন আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসার হামলার জন্য দায়ীদেরকে বিচার করার কথা বলেছেন। ইতোমধ্যেই পুলিশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা ৪টি মামলা দায়েরও করেছে। সুতরাং ধরে নেয়া যায়, অজ্ঞাতনামা কয়েক হাজার আসামীর কথা উল্লেখ থাকবে মামলার এজহারে এবং তার রেফারেন্সেই পুলিশ আগামী কয়েকদিন অসংখ্য নিরীহ ছাত্রছাত্রীকে আটক করবে। প্রধানমন্ত্রী তার ভাষনে আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের জন্য মায়াকান্না করেছেন কিন্তু তারই ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হল সভানেত্রী এশার রগ কাটার ঘটনা প্রসংগে কোন কথা বলেননি। কোন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়ারও ঘোষনা দেননি। সুতরাং আশা করা যায়, তার ভাষনে উজ্জীবিত হয়ে দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড অব্যহত রাখবে। একই সংগে তিনি আন্দোলনকারীদের সাথে সংহতি জানানোর কারনে শিক্ষকদের তিরস্কার করেছেন। যেই দাবী তিনি নিজে মেনে নিলেন তার সাথে সংহতি প্রকাশকারীদের প্রতি তার এই উষ্মা প্রমান করে তিনি আসলে ভেতর থেকে দাবীটি মানতে পারেননি। ফলে তার দলের নেতাকর্মীরা নেত্রীর এই অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে দেশব্যপী নৈরাজ্য সৃষ্টি করার লাইসেন্সও ঠিকমতই পেয়ে গেলো বলে ধরে নেয়া যায়।

হামলা বন্ধ হলোনা, মামলা প্রত্যাহার করা হলোনা, সংবিধানের সাথে সংঘর্ষ রেখেই কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো, আহতদের চিকিৎসা নিয়েও কথা হলোনা, মন্ত্রী মতিয়াও ক্ষমা চাইলেন না- ফলে একথা নি:সন্দেহে বলা যায় যে বিগত অনেক আন্দোলনের মত এবারের আন্দোলনও শেষ হলো শূন্য ফলাফল দিয়েই। আর এর মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকার প্রতারনামূলক কর্মকৌশলের ভেতর দিয়েই সফলতার সাথে আরেকটি সম্ভাবনাময় আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটাতে পারলেন।

তথাপি এই আন্দোলনের কোন অর্জনই নেই, তাও কিন্ত ঠিক নয়। কয়েকটি বিষয় এবারের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এবার নতুন করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যেমন:

  • সরকার পুলিশ, র‌্যাব বা গোয়েন্দা বাহিনী দিয়ে যতই পরিবেষ্টিত থাকুক না কেন, এই সরকারও কাবু হয়, তা আবার প্রমানীত হলো। এই সরকারও ভয় পায় এটা অনুভব করে অনেকেই স্বস্তি অনুভব করবেন।
  • রাষ্ট্রীয় কোন শক্তি দিয়েই যে জনতার আন্দোলনকে দমন করা যায়না, তা জাতি আবার দেখতে পেলো।
  • ছাত্রলীগ যে কতটা বর্বর, কতটা সন্ত্রাসী- সেটা জনগন এবং সাধারন ছাত্রদের সামনে আরেকদফা প্রমান হলো। সেই সাথে ছাত্রলীগের মুখের এবং লেখনির ভাষাও কতটা অশ্নীল সেটা দিবালোকের মত শিক্ষিত সমাজের সামনে স্পষ্ট হলো।
  • সরকারের বিরুদ্ধে জনতার অসন্তোষ আসলে চরমে। তাই সাধারন একটি কোটা ইস্যুতেও গোটা দেশ একসাথে জেগে উঠলো। বোঝা যায়, ভেতরে ভেতরে আসলে দ্রোহের বারুদ পুষছে মানুষ। একবার কাঠিতে আগুন দিতে পারলে সেই আগুন দাবানলের মত গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে স্বৈরাচারের মসনদে আগুন ধরিয়ে দেবে।
  • মুক্তিযুদ্ধের এবং মুক্তি সংগ্রামের জয় হয়েছে, পরাজিত হয়েছে তথাকথিত চেতনা ব্যবসায়ীরা।
  • শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চেতনাধারীদের জিম্মি থেকে মুক্ত হয়ে আম জনতার হাতে চলে এসেছে।
  • আবারও প্রমান হলো ছাত্ররা আন্দোলন করলে দালাল শিক্ষকরাও দালালি করতে সাহস পায়না।
  • জনগন রাস্তায় নামলে প্রশাসন স্থবির হয়ে যায়।
  • একাত্তর টিভি বা এটিএন নিউজের মত চ্যানেলগুলো সরকারী দলকে রক্ষা করার প্রয়োজনে জনগনের সাথে বেইমানী করতে পারে। এই আন্দোলনের কারনেই দালাল মিডিয়াগুলোকে চিনে নিলো জনগন।
  • সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকার বিরোধী ক্ষোভ এবং দেশজুড়ে মানুষের সংহতি প্রমান করেছে যে, এই সরকারকে হটানোর জন্য যে কোন আন্দোলন হলে তারা তার জন্য কষ্ট মেনে নিতেও রাজী।
  • ইসলামপন্থী ছাত্রসংগঠন নয় বরং ছাত্রলীগ এমনকি তার নারী নেত্রীরাও রগ কাটতে ভীষনরকম পারদর্শী।

এবারের আন্দোলনের এই অর্জনগুলোতে তাই আশাবাদী হওয়ার মত অনেক কারনও আছে। সেই আশার উপর ভর করেই এবার জনগনের জেগে ওঠার পালা।

সম্পর্কিত সংবাদ

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা
Home Post

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

মে ৩১, ২০২৫
মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব
Home Post

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মে ২১, ২০২৫
ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?
Home Post

ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

মে ২১, ২০২৫

জনপ্রিয় সংবাদ

  • জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

    জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • রক্তাক্ত ২৮ ফেব্রুয়ারি: নির্বিচার গণহত্যার দিন

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • রাসূল সা: এর দুই বছরের কারাজীবন

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ২৫০, আহত ১ হাজার ৫০০

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

মে ৩১, ২০২৫
মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মে ২১, ২০২৫
ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

মে ২১, ২০২৫
নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
  • Privacy Policy

© Analysis BD

No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে

© Analysis BD