আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিতভাবে কোটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে কোটা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ চেয়ে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক সূত্রে এ কথা জানা গেছে।
এর আগে মন্ত্রী পরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কোটার যোগ্য প্রার্থী না পেলে মেধাবীদের মাধ্যমে পূরণের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তাতেই ইতিমধ্যে একটি সংস্কার হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে চাকরীপ্রার্থীরা। তাদের দাবি, বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে কমাতে হবে। এই চাকরিতে কোটা সব মিলিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।
বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ৫৫ শতাংশ বিভিন্ন ধরনের অগ্রাধিকার কোটা রয়েছে। আর বাকি ৪৫ শতাংশ নিয়োগ হয় মেধা কোটায়। এ জন্য এই কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা।
কোটা সংস্কার দাবিতে শিক্ষার্থীদের দাবি হলো- কোটাব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬ থেকে ১০ শতাংশে নিয়ে আসা; কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদে মেধায় নিয়োগ দেয়া; নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা; কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেয়া এবং চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন কাটমার্ক ও বয়সসীমা নির্ধারণ করা।
সূত্র: প্রথম আলো ও যুগান্তর