জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাগারে আটক বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার (১২ মার্চ) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেন।
এর আগে আজ সোমবার দুপুর সোয়া ২টায় শুনানি শুরু হয়। রবিবার (১১ মার্চ) এ নিয়ে শুনানির সময় আদালতে নথি এসে না পৌঁছানোয় আদেশের জন্য সোমবার দিন ধার্য করা করেন আদালত।
আজ সোমবার রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, দুদকের পক্ষে খুরশিদ আলম খান এবং খালেদা জিয়ার পক্ষে জয়নুল আবেদীন শুনানি করছেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালতে আমরা আবেদন করেছি। আবেদনটি শুনানি শেষে আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ ছিল। আদালতে আমরা কারেন্ট দুটি পিটিশন প্লেস করেছি। সেখানে আছে ১০ বছর বা সাত বছর জেল হলেও বয়স্ক মানুষকে বেইল (জামিন) দিয়ে থাকেন আদালত। আদালত সেই ক্ষমতা ব্যবহার করে আজ তাকে চার মাসের বেইল দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়া এখন বেইলপ্রাপ্ত। সরকার যদি আর কোনও মামলায় তাকে গ্রেফতার না দেখান তাহলে তার জামিন পেতে আর কোনও বাধা নেই। সর্বোচ্চ আদালতের ওপর আমাদের আস্থা আছে। খালেদা জিয়ারও আস্থা আছে বলে তিনি আপিল করেছেন। সেই আপিলের পরে জামিন আবেদনের শুনানির পরে খালেদা জিয়া আজ মুক্তি পেয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে ওই দিন বিকালে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি সেখানেই সাজা ভোগ করছেন।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন