দফতর পরিবর্তন করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
আজ বুধবার মন্ত্রিপরিষদে রদবদলের পর এই তিন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর গণমাধ্যমে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় এ অসন্তোষ প্রকাশ পায়।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। মন্ত্রণালয় পরিবর্তন করে তাকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হয়েছে। দফতর পরিবর্তনের পর গণমাধ্যমে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলতে পারবেন কেন, কিসের জন্য তিনি পরিবর্তন করেছেন। এ বিষয়ে আমার কোনও ক্রিয়া বা প্রতিক্রিয়া নেই। আমি কুম্ভ রাশির জাতক, কাজের লোক। বদলের কারণ আমি বলতে পারব না। উনি (প্রধানমন্ত্রী) হর্তা কর্তা বিধাতা, উনি সব নির্ধারণ করেন।’
এদিকে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে রাশেদ খান মেননকে দেয়া হয়েছে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর দায়িত্ব। দফতর পরিবর্তনের পর মেননও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আকাশ থেকে তিনি মাটিতে নামলেন।’ বুধবার দুপুরে রদবদলের ঘোষণা আসার পর বিকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই প্রতিক্রিয়া জানান।
মেনন একটু হেসে বলেন, “আমার জন্য সুখকর এই কারণে বলতে পারেন- আমি আকাশ থেকে একটু মাটিতে নামলাম । সামাজিক নিরাপত্তার প্রশ্নে বলেন, সামাজিক কল্যাণের প্রশ্নে বলেন… একেবারে সাধারণ মানুষের কাছে। ”
দফতর পরিবর্তন হওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় ব্যক্ত করেছেন তারানা হালিম। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে আজ তারানা হালিমকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়ার পর তারানা হালিম বলেন ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কাজ শেষ করে এনেছি। স্যাটেলাইট বিষয়ে মানুষের কোনও ধারণা ছিল না, ‘আমাকে সরিয়ে দেওয়াটা মানুষ হিসেবে একটু লাগে। আমি তো ফেরেশতা নই, অন্য কিছুও নই; মানুষ। রক্তে-মাংসে গড়া।’ তিনি আরো বলেন ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটসহ আমার হাতে সম্পন্ন করা জিনিসগুলো যখন প্রধানমন্ত্রী ব্যতীত অন্য কেউ উদ্বোধন করবেন, সেটি যখন আমি দেখব, আমার লাগাটা কি স্বাভাবিক নয়?’
তথ্যসূত্র: বাংলা ট্রিবিউন ও শীর্ষনিউজ