শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘১৯৬১ সাল থেকে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। আগে বিজি প্রেস থেকে পরীক্ষার ২ মাস আগে প্রশ্ন ফাঁস হতো। এখন পরীক্ষার দিন সকালে ফাঁস হয়। কিছু কু শিক্ষক প্রশ্ন ফাঁস করছেন। আমরা চেষ্টায় আছি এটাও পুরোপুরি বন্ধ করার।’
শনিবার দুপুর ২টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘একটা সময় ছিল পরীক্ষায় ৫০ শতাংশও পাস করতো না। কিন্তু এখন পাসের হার অনেক বাড়াতে আমরা সক্ষম হয়েছি। তবে এবার পাসের হার কমেছে। এটা লুকানোর কিছু নেই। তবে কেন কমলো তা এখনি বলা যাবেনা। আমরা স্টাডি করবো। তারপর বলতে পারবো।’
কুমিল্লা বোর্ডে এবারও পাসের হার কেন কম-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখনি বলতে পারবো না কেন কমলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘শতভাগ ফেল বিদ্যালয়ের সংখ্যাও বেড়েছে। যেসব বিদ্যালয়ে কেউ পাস করে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেখানে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেহেতু কেউ পাস করে না সেহেতু তারা কিছুই পড়ায় না। তাদের পেছনে খরচ করে তো লাভ নেই। শুধু শুধু সরকারের টাকা নষ্ট।’
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্কুলে যেন সব শিশুকে আনা যায় সেটাই প্রথম দিকে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এখন চ্যালেঞ্জ সব শিক্ষার্থী যেন পাস করতে পারে। আমরা অনেক কষ্ট করে শিক্ষার্থীদের স্কুলে এনেছি। উপবৃত্তি দিচ্ছি, বিনামূল্যে বই দিচ্ছি। স্কুলের অবকাঠামো থেকে সব কিছু সুন্দর করা হয়েছে। টেকনিক্যাল শিক্ষার অগ্রগতি হয়েছে। আমরা প্রযুক্তির কল্যাণকে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাইছি যেন তারা যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারে। শিক্ষকদের জন্যেও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।’
প্রসঙ্গত, এবার জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। জেএসসিতে গড় পাসের হার ৮৩.১০ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৮৪ হাজার ৩৯৭ জন। জেডিসিতে গড় পাসের হার ৮৬. ৮০ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ২৩১ জন। জেএসসি ও জেডিসিতে গড় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার ৬২৮ শিক্ষার্থী।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন