জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করলে পরিণাম হবে ভয়াবহ। যুক্তরাষ্ট্রকে এ কথা বলে হুঁশিয়ার করেছে জর্ডান। আজ সোমবার জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনকে বলেছেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত আরব তথা মুসলিম বিশ্বে প্রচণ্ড ক্ষোভ সৃষ্টি করবে।
জেরুজালেমকে ইসরায়েল রাজধানী বলে দাবি করলেও এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই।
এক টুইট বার্তায় সাফাদি বলেন, জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করার পরিণাম যে ভয়াবহ হবে, এ নিয়ে টিলারসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। এই ঘোষণা আরববিশ্বে ক্ষোভ সৃষ্টি করবে। এ অঞ্চলে শান্তি প্রচেষ্টাকে বিপন্ন করে দেবে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে জেরুজালমকে খুব শিগগিরই ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে জেরুজালেম নিয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জামাতা ও হোয়াইট হাউসের সিনিয়র পরামর্শক জ্যারেড কুশনার।
ট্রাম্পকে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, এ বিষয়ে ফ্রান্স ও তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন আব্বাস। বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক বক্তব্যে মাহমুদ আব্বাসের উপদেষ্টা মাজদি-আল খালিদি বলেন, প্রেসিডেন্ট জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করা হলে তাঁর পরিণতি কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। ফিলিস্তিনি নেতা মনে করেন, এমন সিদ্ধান্তে দুই দেশের (ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন) সমস্যা সমাধানের পথ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়। ১৯৮০ সালে জেরুজালেমকে রাজধানী ঘোষণা করেছিল ইসরায়েল। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এর সমর্থন দেয়নি। ফিলিস্তিন পূর্ব জেরুজালেম তাদের রাজধানী হোক। এখনো কোনো দেশের দূতাবাসই জেরুজালেমে নেই। ইসরায়েলের সব দূতাবাসই তেল আবিবে।
সূত্র: বিবিসি অনলাইন।
Discussion about this post