অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
বর্তমানে দেশে সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে মাদক। এটাকে এখন নীরব সন্ত্রাসও বলা যায়। দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। শুধু মাদক সেবন করেই মানুষ মরছে না, মাদকের ব্যবসা দখল নিয়েও এখন প্রতিনিয়ত বিভিন্ন স্থানে খুনোখুনি হচ্ছে।
এদিকে, প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ও ইয়াবাসহ যারা ধরা পড়ছে তাদের অধিকাংশই ক্ষমতাসীন দলের লোক। যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সঙ্গে তারা জড়িত। আর মাদকের গডফাদার হিসেবে যিনি সারাদেশে এক নামে পরিচিত তিনিও কক্সবাজারের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য।
অপরদিকে, সরকার সব সময়ই বলে আসছে যে তারা মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তবে, বাস্তবাতা দেখে মনে হচ্ছে সরকারের এসব তৎপরতা শুধু কাগজে কলমেই। সরকার এনিয়ে হাক ডাক ছাড়লেও বাস্তবে মাদক এখন সরকারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে। যার বাস্তব প্রমাণ বুধবার সংসদে দেয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বক্তব্য।
দাপুটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে বলেছেন, ইয়াবায় দেশ ছেয়ে গেছে। মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এসে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিন্তু ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে অনেক ব্যবস্থা নেয়ার পরও বান্দরবানের একটা দুর্গম এলাকায় নজরদারি করতে পারি না। এর ভয়াবহতা অনেক, এটা এখন একটা সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এখন ঘুরে দাঁড়াতে হবে জনসাধারণকে। আমরা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বলেছি এ বিষয়ে যাতে শিক্ষার্থীদের বলে। এছাড়া মসজিদের খুতবায় এ বিষয়ে বলার জন্য বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণ হয় যে, মাদক এখন আর সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ অসহায়ত্ব প্রকাশ করা নিয়ে এখন ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
সচেতন মানুষ বলছেন, মাদক ব্যবসায়ীরা কি রাষ্ট্রের চেয়ে বেশি ক্ষমতাধর? তারা এত ক্ষমতা পেল কোথায়? তাহলে রাষ্ট্র কি মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট আত্মসমপর্ণ করলো?
কেউ কেউ বলছেন, সরকারের এমপি-মন্ত্রীরাই এই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ভারত-মিয়ানমার থেকে যত প্রকারের মাদক দেশে আসছে এসব নিয়ন্ত্রণ করে সরকারদলীয় কিছু গডফাদার। এজন্য সরকার মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। পুলিশ-বিজিবি দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতেতো কোনো সমস্যা হচ্ছে না। মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না কেন? কারণ, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোকজন এর সঙ্গে জড়িত।
Discussion about this post