সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার গঠন ও সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরির প্রস্তাবসহ নির্বাচন কমিশনকে ২০ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে বিএনপি। রবিবার প্রায় তিন ঘণ্টার সংলাপে বিএনপির পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়।
সংলাপ শেষে বিএনপির প্রতিনিধি দলের প্রধান ও দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রস্তাবনার বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
দলটির অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- সব দল ও প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ তৈরি (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের কার্যকর সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও কারবন্দি নেতাদের মুক্তি, এখন থেকেই রাজনৈতিক দলের সভাসমাবেশসহ সব স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অধিকার নিশ্চিতকরণ, প্রশাসন দলীয় প্রভাবমুক্তকরণ, ইভিএম/ডিভিএম যন্ত্র ব্যবহার না করা, ২০০৮ সালের আগের নির্বাচনি সীমানা পুনর্বহাল, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, প্রবাসী নাগরিকদের ভোটাধিকার দেওয়া, আরপিও সংশোধন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে অন্তর্ভুক্তকরণ এবং নির্বাচনের কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে থেকে নতুন সরকারের দায়িত্বগ্রহণ পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল ক্ষমতাসহ প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন ইত্যাদি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে রবিবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে সংলাপ শুরু হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে ১৬ জন প্রতিনিধি সংলাপে অংশগ্রহণ করেছেন। দুপুর ২টার দিকে সংলাপ শেষ হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও বিএনপির প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, মঈন খান, আমীর খসরু, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, আবদুল হালিম, আবদুর রশিদ সরকার ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
Discussion about this post