জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থাকে (ইউনেসকো) ইসরায়েলবিরোধী আখ্যা দিয়ে সংস্থাটি থেকে নিজের সদস্যপদ প্রত্যাহার করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সিদ্ধান্ত আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। আজ বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, প্যারিসভিত্তিক এই সংস্থার প্রতিনিধিত্ব প্রত্যাহার করে তারা সংস্থাটিতে পর্যবেক্ষক মিশন পাঠাবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ সিদ্ধান্ত যেনতেনভাবে নেওয়া হয়নি। এ সিদ্ধান্ত ইউনেসকোর বেশ কিছু বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগকে প্রতিফলিত করেছে, এ সংস্থার সংস্কার প্রয়োজন, এ সংস্থার ইসরায়েলবিরোধী পক্ষপাত রয়েছে।’
ইউনেসকোর প্রধান ইরিনা বোকোভা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’। সংস্থাটি থেকে তাদের সদস্যপদ প্রত্যাহারের বিষয়টি জাতিসংঘ পরিবার ও বহুত্ববাদের জন্য ক্ষতিকর।
ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রতিবাদে ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ওই সংস্থায় নিজেদের বরাদ্দ বাতিল করে।
সাময়িকী ফরেন পলিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থ বাঁচানোর উদ্দেশ্য থেকেই যুক্তরাষ্ট্র এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জাতিসংঘের সংস্থাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক অবদানকে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে সমালোচনা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জাতিসংঘের নিয়মিত বাজেটে ২২ শতাংশ ও শান্তিরক্ষা মিশনে ২৮ শতাংশ বরাদ্দ দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র: প্রথম আলো
Discussion about this post