যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে উন্মুক্ত কনসার্টে হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। আইএসে দাবি, হামলাকারী স্টিফেন পোডাক ধর্মান্তরিত মুসলিম।
লাস ভেগাসে কনসার্টস্থলের পাশে থাকা মান্দালাই বে হোটেলের ৩২তলা থেকে বন্দুকধারী স্টিফেন ওই উন্মুক্ত কনসার্টে গুলি ছোড়ে। এতে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয় চার শতাধিক মানুষ। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ৪০৬ জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী বন্দুক হামলা।
রয়টার্স জানায়, আইএসের সংবাদ সংস্থা আমাক নিউজের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ জানিয়েছে, লাস ভেগাসে হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। হামলাকারীকে নিজেদের ‘সেনা’ দাবি করে সংগঠনটি বলেছে, হামলাকারী ধর্মান্তরিত মুসলিম। তবে সংগঠনটি এসব দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।
পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ হোটেল কক্ষে ঢোকার আগেই সন্দেহভাজন হামলাকারী আত্মহত্যা করেন। পুলিশ ওই কক্ষে ১০টি বন্দুক পেয়ে। ওই হামলাকারীর নাম স্টিফেন প্যাডক। ৬৪ বছর বয়সী স্টিফেন নেভাদার বাসিন্দা। সন্দেহভাজন আরও একজনকে খুঁজছে পুলিশ।
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঘটনাস্থলের পাশে থাকা লাস ভেগাস বুলেভার্ড হোটেল পুলিশ বন্ধ করে দিয়েছে এবং জনগণকে ওই এলাকায় যেতে নিষেধ করেছে। পাশের ম্যাককারান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। গোলাগুলির ঘটনার সময় মান্দালাই বে এলাকার রাস্তাজুড়ে রুট ৯১ হারভেস্ট মিউজিক ফেস্টিভ্যালের শেষ রাত চলছিল। অনুষ্ঠানে গাইতে আসা অনেক শিল্পী গুলির শব্দ শুনেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী জন বেসেট বলেন, স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে গুলির শব্দ শোনেন। তখন মঞ্চে থাকা দলটি দ্রুত নেমে গেলে হট্টগোল তৈরি হয়। সবাই ছুটছিল, অনেকে পায়ের নিচে চাপা পড়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, কমপক্ষে একজন বন্দুকধারী ওই ফেস্টিভ্যালে গুলি ছুড়েছে। ভিডিও ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো ছবিতে দেখা গেছে, শত শত মানুষ ঘটনাস্থল থেকে ছুটে পালাচ্ছে।
এই বন্দুক হামলাকে ‘ভয়াবহ’ উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হতাহত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, শতাধিক গুলি চালানো হয়েছে। ভারী অস্ত্রে সজ্জিত পুলিশ এর জবাব দেয়। এ ঘটনায় লাস ভেগাসের অনেক হোটেল বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকে হোটেল, রেস্তোরাঁ ও লাস ভেগাস ম্যাককারান বিমানবন্দরে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেক উড়োজাহাজ বিমানবন্দরে অবতরণ করার আগেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: প্রথম আলো
Discussion about this post