অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। খবর এনটিভি’র।
মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১ টার দিকে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।
এর আগে, আইন সচিবের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আশরাফ-উজ জামান রিট দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, ৭ আগস্ট সোমবার তার চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দুই বছরের জন্য আবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক ওই দিনই কাজে যোগ দেন।
গত ১৭ আগস্ট এক আলোচনা সভায় আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক রাজনৈতিক বক্তার মতই প্রধান বিচারপতিকে কটাক্ষ করে বলেন- ‘বড় গলায় কথা বলবেন না। কারও রায়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। জাতির জনককে অস্বীকার করা, তাঁর একক নেতৃত্বকে অস্বীকার করা বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকে অস্বীকার করার শামিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর আদালত কোনো সুয়োমোটো (স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে) মামলা করেনি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জিয়াউর রহমান এ দেশটার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে গেছেন।’
ষোড়শ সংশোধনী বাতিল বিষয়ে আদালতের রায় ও পর্যবেক্ষণ নিয়েই আইন সচিব এই বক্তব্য প্রদান করেন। একজন সরকারি কর্মচারির এমন বক্তব্যে তখন দেশব্যপী সমালোচনার ঝড় উঠেছিলো।
তখন এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিষয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মন্তব্য করেছিলেন- ‘মাননীয় প্রধান বিচারপতি, আইন সচিবের বক্তব্য দেখেন নি আপনি? মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেননি বুঝলাম। কিন্তু একজন সরকারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে ব্যবস্থা নিতেও কি আপনি অপরাগ এখন?’
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল রংপুর আইনজীবী সমিতি ভবনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি সরকারি কর্মকর্তা হয়েও কোনও প্রকার রাখঢাক না রেখে সরকারি দলের সাফাই গেয়েছিলেন। দলীয় নেতাদের মতই তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা না থাকলে বাংলাদেশ থাকবে না। যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে তখনই দেশের উন্নতি হয়।’
Discussion about this post