অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ও সরকারপন্থী সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবার তথ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। এ জন্য তিনি সরকারের উচ্চ মহলে লবিংয়ের পাশাপাশি বর্তমান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইনুর মন্ত্রণালয় ও গণমাধ্যমের সঙ্গে তার দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ার সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
সম্প্রতি সরকাপন্থী ও বিরোধীপক্ষের সাংবাদিকরা বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল নিয়ে এতদিন সরকারপন্থী সাংবাদিক নেতারা চুপ থাকলেও ইদানিং তারা এবিষয়ে বেশ সোচ্চার হয়েছেন। গত রোববার তারা তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে গণমাধ্যমের গণশত্রু আখ্যায়িত করে তার পদত্যাগ দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। এসময় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন সরকারপন্থী গ্রুপের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল হঠাৎ করেই তথ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি তথ্যমন্ত্রীর অপসারণও দাবি করেছেন।
৫৭ ধারায় বলা হয়েছে- ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কোনো ব্যক্তির তথ্য যদি নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে উদ্বুদ্ধ করে, এতে যদি কারও মানহানি ঘটে, রাষ্ট্র বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, তা হবে অপরাধ। এর শাস্তি অনধিক ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক এক কোটি টাকা জরিমানা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তথ্যমন্ত্রীর অপসারণ দাবিতে সচিবালয়ের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি তারা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর ইন্ধনেই করেছেন। হাসানুল হক ইনু যাতে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন এজন্য তার ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই ইকবাল সোবহান চৌধুরী সাংবাদিকদেরকে মাঠে নামিয়েছেন।
সম্প্রতি ইকবাল সোবহান এক বক্তব্যে ৫৭ ধারা বাতিল হবে জানিয়ে বলেন, ‘কোনো কালাকানুনের দ্বারা মুক্ত গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ভবিষ্যতে খর্ব করা হবে না। ৫৭ ধারা বাতিল হবে। এ আইন বাতিলের ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয় ও তথ্য মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।’ যদিও এই ধারা বাতিল হবার সম্ভাবনা এখন নেই বললেই চলে।
জানা গেছে, আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত তথ্যমন্ত্রীকে তারা যে আল্টিমেটাম দিয়েছে এটা মূলত চাপ সৃষ্টির জন্য। তারা জানে তথ্যমন্ত্রীর পক্ষে এ দাবি মানা সম্ভব হবে না। ৫৭ ধারা ও নবম ওয়েজবোর্ড ইস্যুকে কেন্দ্র করে তারা ১৫ আগস্টের পর আরও বড় ধরণের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। তাদের টার্গেট চলতি আগস্ট মাসের মধ্যেই যাতে হাসানুল হক ইনু পদত্যাগ করেন।
আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, সরকারের কিছু লোকও এখন হাসানুল হক ইনুর ওপর নাখোশ। সাংবাদিকদের আন্দোলনে তাদেরও সমর্থন আছে।
Discussion about this post