অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন(AHRC) কবি, লেখক ও গবেষক ফরহাদ মজহারকে অপহরন, উদ্ধার ও তাকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হেফাজতে নেয়ার পুরো বিষয়ে ভারতের হাত রয়েছে বলে দাবী করেছেন। এমন দাবির পাশাপাশি তারা বেশ কিছু প্রশ্নও তোলেন।
গত শুক্রবার হংকং ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশের জনগনের উপর চেপে বসা সরকার ও দেশটির অভ্যন্তরীন বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপকে যারা চ্যালেঞ্জ করতে সাহস করেন তাদের জন্য ফরহাদ মজহারের অপহরন ও গুম প্রচেষ্টার ঘটনা অতি জঘন্য একটি হুমকি।”
এ সম্পর্কে ৭টি প্রশ্ন উত্থাপন করে তারা জানান, “এই বিষয়ে তদন্তে যে কোন প্রকার অবহেলা কিংবা তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা না হলে এটাই প্রমাণিত হবে যে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন বিষয়গুলো এখন আর বাংলাদেশ নয় বরং ভারত দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়”।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে আরো বলা হয় যে, “জিজ্ঞাসাবাদ করাকালীন সময় গোয়েন্দা সংস্থা ফরহাদ মজহারকে থাপ্পড় দেয়া ও অভূক্ত রাখার মত অমানবিক আচরন করে। এমনকি তার আইনজীবীকেও সেখানে উপস্থিত থাকতে দেয়া হয় নি”।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে উত্থাপন করা ৭টি প্রশ্ন ভাষান্তর করে অ্যানালাইসিস বিডির পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
১। যদি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তার অবস্থান সম্পর্কে দ্রুতই জেনে থাকে তবে কেন তারা তাকে উদ্ধার করতে ১৮ ঘন্টা সময় নিয়েছিল? অথচ ততক্ষনে তাকে ভারতের ৩০০ কি.মি এরও কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
২। যদি সাধারণ ক্রিমিনালরাই তাকে অপহরন করে থাকে তাহলে তারা পুলিশ ও র্যবের চেকপোস্টগুলো কিভাবে অতিক্রম করেছিল নাকি এতে পুলিশ ও র্যবই জড়িত ছিল?
৩। নাকি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাই ফরহাদ মজহারকে অপহরন করেছিল, যেমনটি দেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করে?
৪। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপহরণে জড়িত একটি সাদা মাইক্রোবাসের অবস্থান জানতে পেরেছিলো। এই মাইক্রোবাসটি আসলেই অপহরণে ব্যবহৃত হয়েছিলো কিনা সেই ব্যপারে কি তারা কোনো তদন্ত করেছে?
৫। ফরহাদ মজহারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব ও পুলিশের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। এটা কি শুধুমাত্র উদ্ধারের কৃতিত্ব নেয়ার জন্য, নাকি এর পিছনে অন্য কোনো কারণ ছিলো?
৬। পুলিশ এবং র্যাব কর্তৃক এই মামলা সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য কি প্রমান করে?
৭। অপরদিকে, এই ঘটনার ফ্যাক্টস ও আদালতে ফরহাদ মজহারের বক্তব্যের বিপরীতে পুলিশ দাবি করে তারা ফরহাদ মজহারকে একটি ব্যাগ ও তার কিছু ব্যক্তিগত জিনিসপত্রসহ উদ্ধার করেছে। সেই জিনিসগুলো এখন কোথায় এবং সেগুলো কার হেফাজতে আছে?
তারা আরো বলেন, “ফরহাদ মজহারকে নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যেও এটাই প্রমাণিত হয় যে, এর পেছনে ভারত সরকারের হাত রয়েছে”।
AHRC এর পুরো রিপোর্টটি পড়তে এই লিংকে যান: BANGLADESH: Questions arising from the abduction of Farhad Mazhar
ভাষান্তর: এস. মোরশেদ
Discussion about this post