জঙ্গি আস্তানার খোঁজ, জঙ্গি গ্রেপ্তার, ওয়ারেন্টভুক্ত ও নিয়মিত মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার এবং নৌ-ডাকাতি প্রতিরোধে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে কিছুই পায়নি পুলিশ। নদীতে পানি বেশি থাকায় চরগুলোতে মানুষের সংখ্যা খুবই কম বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা।
আজ শনিবার ভোর পাঁচটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত এই অভিযান চালান কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), জেলা পুলিশ লাইনের পুলিশ ও সাঘাটা থানা-পুলিশের প্রায় ৭০ জন কর্মকর্তা ও সদস্য।
গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মো. মইনুল হকের নেতৃত্বে চরবেষ্টিত সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দিঘলকান্দিসহ আশপাশের চরগুলোতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান শেষে গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মো. আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, ‘আমরা সাঘাটা উপজেলার দুর্গম চরগুলোতে ব্লক রেইড (নির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করে) দিয়ে অভিযান চালিয়েছি। নদীতে পানি বেশি থাকায় চরগুলোতে মানুষের সংখ্যা খুবই কম। অভিযানে কোনো জঙ্গি আস্তানা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার ও কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।’
গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মো. মইনুল হক মুঠোফোনে বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত ও নিয়মিত মামলার আসামি গ্রেপ্তার, নৌ-ডাকাতি, জঙ্গিদের তৎপরতা ও নাশকতা প্রতিরোধ এবং মানুষকে সচেতন করতে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
অভিযানে সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মো. আসাদুজ্জামান, সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ পুলিশের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
এর আগে গত বুধবার গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ও মোল্লারচর ইউনিয়নের কয়েকটি চরে অভিযান চালিয়ে একজন ডাকাতকে আটক করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি, ফুলছড়ি ও ফজলুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে অভিযান চালিয়ে কিছুই পাননি তাঁরা।
সূত্র: প্রথম আলো
Discussion about this post