ইরাকের মসুলে আল নূরী এলাকায় ঐতিহ্যবাহী গ্রেট মসজিদ উড়িয়ে দেয়া হয়েছে বোমায়। এর জন্য পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে।
অনলাইন বিবিসি বলেছে, ইরাকের সেনাবাহিনী দাবি করছে, এ হামলা চালিয়েছে আইএস। অন্যদিকে আইএস দাবি করছে, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান বোমা মেরে ধ্বংস করে দিয়েছে ওই মসজিদ কমপ্লেক্স।
আইএসের সংবাদ মাধ্যম ‘আমাক’-এ এ বিষয়ে বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গ্রেট মসজিদ হলো ইরাকের প্রাচীন মসজিদগুলোর অন্যতম। এতে ছিল হেলানো বিখ্যাত মিনার। ২০১৪ সালে এখান থেকে আইএস নেতা আবু বকর আল বাগদাদী তার খেলাফত ঘোষণা করেছিলেন।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদী বলেছেন, পরাজিত আইএস-এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছিল এই মসজিদটি উড়িয়ে দেয়া। ঘটনার পর আকাশ থেকে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে মসজিদটি ও এর মিনার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মসুল দখল বিষয়ক অপরাধ বিরোধী ইরাকের কমান্ডার ইনচার্জ বলেছেন, আইএস যখন ঐতিহাসিক আরেকটি অপরাধ সংঘটিত করে তখন ওই মসজিদ থেকে ইরাকি সেনারা ছিল ৫০ মিটার দূরত্বের মধ্যে।
ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের এক সিনিয়র কমান্ডার মেজর জেনারেল জোসেফ মার্টিন বলেছেন, আইএস মসুল ও ইরাকের মহান এক সম্পদ ধ্বংস করেছে।
তিনি আরো বলেন, এটা মসুল ও সারা ইরাকের মানুষের বিরুদ্ধে একটি অপরাধ। এ কারণেই এই নৃশংস সংগঠনকে ধ্বংস করে দিতে হবে।
উল্লেখ্য, একইভাবে ইরাক ও সিরিয়ায় অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। জাতিসংঘের হিসাবে মসুলে এক লাখেরও বেশি মানুষকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে আইএস।
আইএসের বিরুদ্ধে ইরাকে লড়াই শুরু হয়েছে ২০১৬ সালের ১৭ই অক্টোবর। এ যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যুদ্ধবিমানের সহায়তায় লিপ্ত রয়েছে ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী, কুর্দিশ পেশমার্গা, সুন্নি আরব উপজাতির সদস্য ও শিয়া যোদ্ধারা। তাদের সংখ্যা কয়েক হাজার। এ বছরের জানুয়ারিতে মসুলের পূর্বভাগকে আইএসমুক্ত ঘোষণা করে ইরাক সরকার।
সূত্র: মানবজমিন
Discussion about this post