অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
ড. শাহদীন মালিক এদেশের মানুষের কাছে একজন বিশিষ্ট আইনজীবী ও সুশীল সমাজের লোক হিসেবে পরিচিত। এমনকি অনেকের কাছে তিনি একজন ভাল মানুষ হিসেবেও পরিচিত। সুশীল সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি হলেও তিনি যে একজন কট্টর ধর্মবিদ্বেষী সেটা অনেকেরই জানা ছিল না। কারণ, ধর্মের প্রতি তার যে বিদ্বেষ সেটাকে তিনি সব সময়ই আইন ব্যবসার স্বার্থে আড়াল করে রেখেছেন।
সম্প্রতি সুপ্রিমকোর্টের প্রাঙ্গণে স্থাপিত গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণকে কেন্দ্র করে ড. শাহদীন মালিক তার মুখোশটা খুলে ফেলেছেন। ধর্মের প্রতি তার যে কী পরিমাণ বিদ্বেষ সেটা জনসম্মুখে প্রকাশিত হয়েছে।
দেশে ধর্মবিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত বামপন্থীরা মূর্তিটির জন্য মায়াকান্না করছে। মূর্তিটি অপসারণ করায় তারা তুষের আগুনের মতো জ্বলে পুড়ে মরছে। জনগণকে সাথে না পেয়ে নিজেদের বউ, ছেলে-মেয়েকে নিয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। তাদের এই প্রতিবাদ গতানুগতিক বলেই মনে করছেন বিশিষ্টজনসহ সাধারণ মানুষ।
তবে, এদেশের মানুষ অবাক হয়েছেন মূর্তি সরানো নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ও সেমিনারে দেয়া ড. শাহদীন মালিকের বক্তব্য শুনে।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি সংগঠনের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ড. শাহদীন মালিক বলেছেন, ভাস্কর্য সরানোর ঘটনা উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে সরকারের আপসকামিতার ইঙ্গিত। কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য অপসারণের ঘটনাটি পরোক্ষভাবে সুপ্রিম কোর্টের ওপর চাপ সৃষ্টি করার একটি সরকারি প্রয়াস। মধ্যযুগীয় ব্যাখ্যায় যারা ধর্মকে ব্যবহার করে, সরকার তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এই ঘটনা আমাকে হতাশ করেছে। এদের সঙ্গে আপসকামিতার মাধ্যমে সরকার উগ্র ধর্মীয় চিন্তাকে উসকে দিচ্ছে। সরকারি দল সাংঘাতিক ভুল পথে হাঁটছে।
শাহদীন মালিকের এ বক্তব্য নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় বইছে। বিশেষ করে আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মানুষ শাহদীন মালিকের এ বক্তব্যে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছে। মধ্যযুগীয় ব্যাখ্যায় ধর্ম ব্যবহারকারী বলে শাহদীন মালিক কুরআন এবং রাসুল (স.)কে অবজ্ঞা করছেন বলে তারা মনে করছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ বলছেন, শাহদীন মালিক এতদিন মুখোশ পরা ছিলেন। মূর্তি অপসারণকে কেন্দ্র করে তার ভেতরের নগ্ন রূপটা প্রকাশ পেয়েছে।
নষ্ট দৃষ্টি ছদ্মনামে একজন ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন, জানতাম শাহদীন মালিক সংবিধান আর আইন চর্চা করে। নাস্তিকতা চর্চা শুরু করলো কবে থেকে তা তো জানিনা।
Discussion about this post