• যোগাযোগ
সোমবার, মে ২৬, ২০২৫
Analysis BD
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home নিবন্ধ

যেভাবে আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠা হয় : ২য় পর্ব

মুসলিম লীগ ভেঙ্গে ইসলামবিরোধী আওয়ামী লীগের উত্থান

জুন ২৫, ২০২৪
in নিবন্ধ
যেভাবে আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠা হয় : ২য় পর্ব
Share on FacebookShare on Twitter

পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করার কালে মোটাদাগে বাংলায় রাজনৈতিক দল ছিল দুইটি। এক মুসলিম লীগ, দুই কৃষক প্রজা পার্টি। ১৯৪৫-৪৬ সালের পরিস্থিতিতে শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের কৃষক প্রজা পার্টি অস্তিত্ব হারিয়েছে হিন্দুদের সাথে মিলিত হওয়ার দায়ে। একইসাথে বাংলার মানুষের কাছে ফজলুল হক প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। তাই পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠিত হওয়ার পর তিনি রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে আইন পেশায় সময় দিতে থাকেন।

সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে নবগঠিত পাকিস্তানে মুসলিম লীগ ছাড়া আর কারো প্রভাব ধর্তব্য ছিল না। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান হওয়ার পরে ঢাকায় মুসলিম লীগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন মাওলানা আকরম খাঁ এবং খাজা নাজিমুদ্দিন। তাদের প্রভাবে দলের মধ্যে প্রায় কোণঠাসা ছিলেন সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশেম নেতৃত্বাধীন বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের অনুসারীরা।
মোঘলটুলিতে ১৫০ নম্বর বাড়িতে ছিল মুসলিম লীগের একটি অফিস। সোহরাওয়ার্দিপন্থীরা দখল করে সেখানে আড্ডা দিত। সেখানে তারা একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করার কথা চিন্তা করছিলেন। সোহরাওয়ার্দির নির্দেশে তার অনুগত শেখ মুজিবুর রহমান কলকাতা থেকে এসে তাদের সাথে যুক্ত হন।

ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করে তারা প্রাথমিক সফলতা পায়। ছাত্রলীগে সোহরাওয়ার্দির অনুগতরা নেতৃত্ব পায়। শেখ মুজিব দক্ষতার পরিচয় দিয়ে অল্প সময়ে সব জেলাগুলোতে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করতে সক্ষম হয়। এর মাধ্যমে বাংলায় সোহরাওয়ার্দির ভিত্তি মজবুত হয়।

এদিকে ভাসানী এবং তার অনুসারীরা মুসলিম লীগকে সমাজতান্ত্রিক বামধারায় রূপান্তর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ইসলামী চেতনাধারীদের তোপের মুখে সেটা সম্ভব হচ্ছিল না। তাঁর কর্মস্থল আসাম ভারতের অধীনে হওয়ায় তিনিও ঢাকায় অনেকটা প্রভাবহীন অবস্থায় ছিলেন। তখন ভাসানী মুসলিম লীগ ছেড়ে অন্য দল তৈরি করার কথা ভাবছিলেন। ভাসানী টাঙ্গাইলের আরেক মুসলিম লীগ নেতা শামসুল হককে বাঙালি জাতীয়তাবাদ বুঝান এবং তাকে সাথে রাখেন। ভাসানী আদর্শিক বিষয় গোপন রেখে বাঙালিদের নিয়ে আলাদা দল গঠনের উদ্যোগ নিতে থাকেন। তারই প্রস্তুতি হিসেবে সোহরাওয়ার্দির সাথে যোগাযোগ করেন। তারা সবাই মিলে একটি সভা ডাকেন। সেই সভা ডাকার প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি ছিলেন মওলানা ভাসানী আর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ইয়ার মোহাম্মদ খান।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলীর কেএম দাস লেন রোডের রোজ গার্ডেন প্যালেসে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ প্রতিষ্ঠিত হয়, যার সভাপতি হন ভাসানী আর সেক্রেটারি শামসুল হক। সহ-সভাপতি হন আতাউর রহমান খান, শাখাওয়াত হোসেন ও আলী আহমদ। শেখ মুজিবুর রহমান, খন্দকার মোশতাক আহমদ ও এ কে রফিকুল হোসেনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কোষাধ্যক্ষ হন ইয়ার মোহাম্মদ খান। এসময় শেখ মুজিব কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন। ঢাবিতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে যোগ দিয়ে ভার্সিটিতে ভাংচুর করায় ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

পুরো পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সংগঠনটির নাম রাখা হয় নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। আর এর সভাপতি হন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। সেক্রেটারি জেনারেল হন মাহমুদুল হক ওসমানী। নওয়াবজাদা নসরুল্লাহ খান পশ্চিম পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত চারটি কাউন্সিলে পূর্ব পাকিস্তানের সভাপতি নির্বাচিত হন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।

আর দ্বিতীয় কাউন্সিল থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৫৫ আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে আবারো সভাপতি হন মওলানা ভাসানী ও সেক্রেটারি হন শেখ মুজিবুর রহমান। এটা মূলত বাঙালিদের একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে উঠেছে। এভাবেই ভাসানীর প্রত্যক্ষ প্রভাবে এই অঞ্চলের মানুষের মুসলিম চেতনা বিলুপ্ত করে বাঙালী জাতীয়তার বীজ রোপিত হয় এবং ফ্যাসীবাদী দল আওয়ামী লীগের জন্ম হয়।

ভাসানী এই দলটিকে মুসলিম লীগ বিরোধী হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। এর মধ্যে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ঘটনা বাঙালিদের মধ্যে মুসলিম লীগ বিরোধী সেন্টিমেন্ট তৈরি করে। ১৯৫২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সরকারের বিরুদ্ধে একটা রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলার উদ্দেশে আওয়ামী যুবলীগ সকল বিরোধীদলের ঐক্য গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করে। শুরুতেই ‘গণতান্ত্রিক দল’ ও ‘আওয়ামী লীগ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন ও পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দও মুসলিম লীগ বিরোধী জোটের জন্য কাজ করতে থাকে।

যেহেতু অনেক মুসলিম লীগ এমপি দল পরিবর্তন করে আওয়ামী মুসলিম লীগে যোগ দিয়েছে তাই পূর্বপাকিস্তানে প্রাদেশিক নির্বাচন জরুরি হয়ে পড়ে। পূর্ববঙ্গের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৯৫৩ সালের ৩ ডিসেম্বর কৃষক-শ্রমিক পার্টির সভাপতি শের-এ-বাংলা এ.কে. ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তফ্রন্ট নামক নির্বাচনী মোর্চা গঠন করেন ভাসানী। ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট বিপুল বিজয় অর্জন করে এবং পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক পরিষদে ২৩৭ টির মধ্য ২২৮ টি আসন অর্জনের মাধ্যমে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। শেরে বাংলা ফজলুল হকের নেতৃত্বে সরকার গঠন হলেও তার সাথে ভাসানী-শেখ মুজিবের দন্দ্বে প্রাদেশিক সরকার টিকে নি। বার বার মন্ত্রীসভা গঠিত হয়েছে ও ভেঙে পড়েছে।

১৯৫৫ সালের কাউন্সিলের অনেক আগ থেকেই মওলানা ভাসানী চাচ্ছিলেন দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিতে। কিন্তু এতে সম্মত ছিলেন না দলের কেন্দ্রীয় প্রধান বা নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ সভাপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। এবিষয়ে লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ বিবিসিকে বলেন, ”মওলানা ভাসানী দলকে অসাম্প্রদায়িক করতে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়ার জন্য জোর দিচ্ছিলেন, কিন্তু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী চাইছিলেন যে মুসলিম শব্দটি থাকুন। কারণ তার ভয় ছিল, এটা বাদ হলে পশ্চিম পাকিস্তানে জনপ্রিয়তা কমে যাবে”। অবশেষে ১৯৫৫ আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে ভাসানী ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়।

১৯৫৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ-রিপাবলিকান পার্টির কোয়ালিশন করে। এতে কেন্দ্রীয় সংসদে মুসলিম লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়। এর মাধ্যমে ভাসানীর দল আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে ক্ষমতার শীর্ষে চলে যায়। সোহরাওয়ার্দি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন। মাওলানা ভাসানী সোহরাওয়ার্দিকে আমেরিকাকে বন্ধু না বানিয়ে চীনকে বন্ধু বানানোর পরামর্শ দেয়। কিন্তু বেশিরভাগ আওয়ামীলীগ ও পাকিস্তানী রাজনীতিবিদেরা কম্যুনিস্টদের অপছন্দ করতো বিধায় সেই পরামর্শ গ্রহণ করা হয়নি। মাওলানা ভাসানী নিজ সরকারের পররাষ্ট্রনীতির বিরোধিতা করে আন্দোলন শুরু করেন। বলাবাহুল্য আওয়ামী লীগে ভাসানীর চাইতে সোহরাওয়ার্দির প্রভাব বেশি ছিল।

১৯৫৬ সালে পাকিস্তান গণপরিষদে যে খসড়া শাসনতন্ত্র বিল পেশ করা হয় তাতে পাকিস্তানকে ইসলামিক রিপাবলিক বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এর জন্য জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে ইসলামপন্থীরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছিলেন। মাওলানা ভাসানী এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন শুরু করেন। যদিও এই আন্দোলনে তার দলের সাপোর্ট তিনি ভালোভাবে পাননি। মাওলানা ভাসানী পল্টনের জনসভায় ইসলামী রিপাবলিকের বিরোধিতা করে বক্তব্য দিয়েছিলেন।

একইসঙ্গে কেন্দ্রে এবং পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতার আসীন হওয়ায় আওয়ামী লীগ অল্প সময়ের সময়ের অত্যন্ত প্রভাবশালী হয়ে ওঠে। কিন্তু আওয়ামী লীগের শাসনামল শান্তিপূর্ণ হতে পারেনি। কেন্দ্রে ও প্রদেশে আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই সরকার গৃহীত বিভিন্ন নীতির প্রশ্নে পার্টির অভ্যন্তরে কোন্দল দেখা দেয়। আওয়ামী লীগ গঠিত হওয়ার সময় থেকেই অনেক বামপন্থী নেতা-কর্মী এই পার্টিতে ঢুকে পড়ে। পার্টির এই অংশ ভাসানীর নেতৃত্বে সোহরাওয়ার্দীর পররাষ্ট্রনীতি এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্র করার বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা শুরু করে। মাওলানা ভাসানী প্রকাশ্যে সমালোচনা করে বলেন যে, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে যে পররাষ্ট্রনীতি অবলম্বন করেছে তা পার্টির মেনিফেস্টো বিরোধী। এভাবে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে দুটি ভিন্নমতালম্বী গ্রুপের সৃষ্টি হয়।

এই মতবিরোধ শক্তিশালী হয় ১৯৫৭ সালে আওয়ামী লীগের কাগমারী সম্মেলনে। কাগমারী সম্মেলনে ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। ৮ ফেব্রুয়ারি ডক্টর কাজী মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি আরম্ভ হয়। এই সভায় ভাসানী বক্তৃতা করেন। বক্তৃতায় অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে তিনি বলেন, পূর্ববাংলা পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শাসকদের দ্বারা শোষিত হতে থাকলে পূর্ববঙ্গবাসী তাদের সালামুন আলাইকুম জানাতে বাধ্য হবে।

এই সালাম নিয়ে আমাদের দেশে জনপ্রিয় কথা চালু আছে ভাসানী নাকি পাকিস্তানী শাসকদের সালাম দিয়ে বিদায় জানিয়েছেন। আসলে এই কথাটি তিনি বাঙালি ও নিজ দলের নেতা সোহরাওয়ার্দিকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন। এই কথাটি যখন তিনি বলেন তখন পাকিস্তান কেন্দ্রের সরকারে ছিল আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগই পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল। ভাসানী ক্ষমতাসীন দলের ২য় প্রভাবশালী নেতা। নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহরাওয়ার্দি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পূর্ব পাকিস্তান শোষিত হচ্ছে এটা হচ্ছে ভাসানীর রাজনৈতিক মিথ্যে কথা। সে এর মাধ্যমে সমস্ত বাঙালি বিশেষত আওয়ামীলীগের লোকদেরকে সোহরাওয়ার্দির বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দিতে চেয়েছিলো।

মূলত কাগমারী সম্মেলনে ভাসানী পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তি বাতিলের দাবি জানান। এই চুক্তিতে চীন নাখোশ হয়েছে। চীনের খুশি বা অখুশিই ভাসানীর খুশি বা অখুশি। পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়নের ব্যাপারেও সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে ভাসানীর মতবিরোধ দেখা দেয়। প্রস্তাবিত পাকিস্তান সংবিধানে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ভাসানী তীব্র প্রতিবাদ করেন। সোহরাওয়ার্দী পৃথক নির্বাচনের পক্ষপাতি ছিলেন। ইসলামিক রিপাবলিকের ব্যাপারেও ভাসানীর আপত্তি ছিলো। এতে সংখ্যালঘুদের অধিকারহরণ হবে বলে তিনি মনে করতেন। ভাসানী তাঁর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘেঁষা বৈদেশিক নীতিরও বিরোধিতা করেন। তিনি চেয়েছিলেন চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে। ভাসানী কাগমারি সম্মেলন করেছে মূলত চীনের চাপে।

কাগমারি সম্মেলনের পর পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি ভাসানী বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই কথা বলতে থাকেন দলের ডানপন্থী ও উদারপন্থীরা। অনেকটা কোণঠাসা ভাসানী মাসখানেক পরে ১৮ মার্চ আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেন। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন সোহরাওয়ার্দীর চুক্তি বাতিলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান। একই বছর ২৫ জুলাই ভাসানীর নেতৃত্বে ঢাকার রূপমহল সিনেমা হলে ‘ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি’ (ন্যাপ) গঠিত হয়। ন্যাপ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভাসানী প্রকাশ্যে বামপন্থী রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন এবং এরপর থেকে সবসময় বাম ধারার রাজনীতির সাথেই সংশ্লিষ্ট ছিলেন। এজন্য তাকে তার বিরোধীরা উপহাস করে লাল মাওলানা বলতো। ন্যাপ গঠনের পর প্রাদেশিক পরিষদের ২৮ জন সদস্য আওয়ামী লীগ থেকে সরে এসে ন্যাপে যোগ দেন।

১৯৬৩-র মার্চ মাসে ভাসানী আইয়ুব খানের সাথে সাক্ষাত করেন। একই বছর ২৪ সেপ্টেম্বর চীনের বিপ্লব দিবস-এর উৎসবে যোগদানের জন্য ঢাকা ত্যাগ করেন এবং চীনে সাত সপ্তাহ অবস্থান করেন। তিনি আইয়ুব ও চীনের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীতে পরিণত হন। ১৯৬৪-র ২৯ ফেব্রুয়ারি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি পুনরুজ্জীবিত করে দলের সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং একই বছর ২১ জুলাই সম্মিলিত বিরোধী দল (কপ) গঠনে ভূমিকা পালন করেন। ভাসানী ১৯৬৫ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোর সাথে যুক্ত থেকে বিশ্বাসঘাতকতা করেন ও আইয়ুবকে জিতিয়ে দেন। ১৯৬৫-র ১৭ জুলাই আইয়ুব খানের চীন ঘেঁষা পররাষ্ট্র নীতির প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন।

সম্পর্কিত সংবাদ

যেভাবে আওয়ামীলীগ সৃষ্টি হয় : ১ম পর্ব
নিবন্ধ

যেভাবে আওয়ামীলীগ সৃষ্টি হয় : ১ম পর্ব

জুন ২৪, ২০২৪
আজ সীমানাভাঙা বিপ্লবের কবি আল্লামা ইকবালের জন্মবার্ষিকী
নিবন্ধ

আজ সীমানাভাঙা বিপ্লবের কবি আল্লামা ইকবালের জন্মবার্ষিকী

নভেম্বর ৯, ২০২৩
ইসলামী ব্যাংক ছেড়ে যাচ্ছে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা
নিবন্ধ

ইসলামী ব্যাংক ছেড়ে যাচ্ছে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা

অক্টোবর ১১, ২০২৩

Discussion about this post

জনপ্রিয় সংবাদ

  • বিতর্কিত আজিজের সাক্ষাৎকার নিয়ে লে. কর্নেল মুস্তাফিজের বিশ্লেষণ

    বিতর্কিত আজিজের সাক্ষাৎকার নিয়ে লে. কর্নেল মুস্তাফিজের বিশ্লেষণ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির যত মামলা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ২৫০, আহত ১ হাজার ৫০০

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • রক্তাক্ত ২৮ ফেব্রুয়ারি: নির্বিচার গণহত্যার দিন

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মে ২১, ২০২৫
ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

মে ২১, ২০২৫
নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

মার্চ ২০, ২০২৫
  • Privacy Policy

© Analysis BD

No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে

© Analysis BD