গত তিন বছরে ভারত থেকে ২৫০ পাকিস্তানী ও ১,৭৫০ বাংলাদেশী নাগরিককে বহিস্কার করা হয়েছে। বুধবার রাজ্যসভায় ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু এ কথা জানান।
রিজিজুর বলেন, কিছু বাংলাদেশী অভিবাসীর ইসলামী মৌলবাদের প্রতি ঝোঁক রয়েছে। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র মতো এরা সহজেই জঙ্গীবাদ, সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও ভারত-বিরোধী কাজে জড়িয়ে পড়তে পারে।
তবে, ভারতে কত সংখ্যক বাংলাদেশী অবৈধভাবে বসবাস করছে তার কোন নির্ভুল পরিসংখ্যান নেই বলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী স্বীকার করেন।
রাজ্যসভায় এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে রিজিজু বলেন, ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ২৫০ পাকিস্তানী ও ১,৭৫০ বাংলাদেশী নাগরিককে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এরা গোপনে কোন বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের কত নাগরিক অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছে তার কোন সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই। এদের অনেককে চুরি, চোরাচালান, মানব ও মাদক পাচার ইত্যাদিতে জড়িত থাকার দায়ে আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
মন্ত্রী বলেন, অবৈধ সীমান্ত পারাপার সমস্যা মোকাবেলার জন্য জন্য দু’দেশের মধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া, যেসব রাজ্যকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে সেগুলোও বিদেশী আইনের আওতায় অবৈধ বাংলাদেশীদের ফেরত পাঠাচ্ছে।
সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর
Discussion about this post