দিন যত যাচ্ছে ততই বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের রহস্যজনক অবস্থান নিয়ে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে সন্দেহ-সংশয় বাড়ছে। ৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের আগে জনমত পুরোটাই ছিল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। দেশের বিশিষ্টজনদের অবস্থানও ছিল শেখ হাসিনার ডামি নির্বাচনের বিরুদ্ধে। এছাড়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী দেশগুলোও ওই নির্বাচনের পক্ষে ছিল না।
এমনকি স্বৈরাচারী হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে বিএনপি-জামায়াতসহ সব বিরোধীদল নির্বাচনের বিরুদ্ধে ছিল। আর বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এবার জীবনের ঝুকি নিয়ে মাঠে নেমেছিল। কিন্তু তারপরও বিএনপির সরকার পতন আন্দোলন সফল হয়নি। এ নিয়ে বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা চুলছেড়া বিশ্লেষণ করছেন।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, ঘুরে ফিরে তাদের সামনে কিছু কেন্দ্রীয় নেতার রহস্যজনক ভুমিকা বার বার সামনে আসছে। সরকারের সাথে কিছু নেতার গোপন আতাত থাকার কারণেই মূলত আন্দোলন সফল হয়নি বলে মনে করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে দলটির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী দুই নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ড. মঈন খানকে নিয়ে বিএনপির ভেতরে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। ২৮ অক্টোবরের পর থেকে তাদের ভুমিকাকে রহস্যজনক মনে করছেন তারা।
কারণ, ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনার পরই গ্রেপ্তার করা হয় বিএনপি মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে। একই মামলার আসামি ছিলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বিএনপির হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হলেও রহস্যজনক কারণে গ্রেপ্তার করা হয়নি গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে। এমনকি পুলিশ তার বাসায় কোনো দিন তল্লাশিও চালায় নি।
জানা গেছে, গয়েশ্বর চন্দ্রের রায়ের বাসা হল কেরানীগঞ্জে। কেরানীগঞ্জ এলাকার সরকার দলের এক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে তার সখ্য রয়েছে। সেকারণে পুলিশ কোনোদিন তার বাসায় অভিযানেও যায়নি।
আর ড. মঈন খানের বিরুদ্ধে কোনো মামলাও হয়নি। সেইজন্য মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে তাকে নিয়েও দেখা দিয়েছে সন্দেহ সংশয়। তাদের ধারণা, গোপনে সরকারের সাথে আতাত করার কারণেই পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা দিচ্ছে না এবং তাকে গ্রেফতারও করছে না।
Discussion about this post