শনিবার, অক্টোবর ১১, ২০২৫
Analysis BD
No Result
View All Result
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home slide

হেফাজতের মতো পরিনতি করতেই সোহরাওয়ার্দীতে নিচ্ছে বিএনপিকে!

নভেম্বর ৩০, ২০২২
in slide, রাজনীতি
Share on FacebookShare on Twitter

অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়ে বিএনপিকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া অনুমতিও দেয়া হয়েছে ২৬টি শর্ত যোগ করে। এসব শর্তের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ২টি হল-দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ওই স্থানে বিএনপি সমাবেশ করতে হবে। ১২টার আগে নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করতে পারবে না এবং বিকেল ৪টার মধ্যেই সমাবেশ শেষ করতে হবে। তারপর, উদ্যানের বাউন্ডারির বাইরে কোনো লোক থাকতে পারবে না। এমনকি মিছিল নিয়েও সমাবেশে আসা যাবে না। বাউন্ডারির বাইরে মাইক ব্যবহার করা যাবে না। এসব শর্ত থেকেই অনেকটা স্পষ্ট যে সরকার আসলে কি করতে চাচ্ছে।

আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার জন্য বিএনপি অনুমিত চেয়েছিল। কিন্তু সরকার অনুমিত দিয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। বিএনপি প্রথম থেকেই বলে আসছে যে, আমরা নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবো। কিন্তু সরকার নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিচ্ছে না। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন যুক্তি দেখানো হচ্ছে যে, নয়াপল্টনে লোকের জায়গা হবে না, আগত নেতাকর্মীদের কষ্ট হবে। বিএনপি যাতে সুন্দরভাবে সমাবেশ করতে পারে সেইজন্য সরকার তাদের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দিয়েছে। এমনকি বিএনপির সমাবেশের কারণে ছাত্রলীগের সম্মেলন দুইদিন এগিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

এখন প্রশ্ন হল-হঠাৎ করেই শেখ হাসিনা বিএনপির প্রতি এত দরদী হয়ে উঠলেন কেন? কিছু দিন আগেও বলেছেন-হেফাজতের মতো বিএনপির একই পরিনতি হবে। তার আসল মতলব কি?

জানা গেছে, বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে মানুষের ভিড় দেখে সরকার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। সরকারের আশঙ্কা ঢাকার সমাবেশেও বড় জমায়েত হবে। তারা যদি সমাবেশের অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে নয়াপল্টনে সরকার চাইলেও কিছু করতে পারবে না। আর নয়াপল্টন হল বিএনপির বাড়ির আঙ্গিনা। এখানে বিএনপির শক্তি বেশি। কোনো সমস্যা হলেও বিএনপি মোকাবেলা করতে পারবে।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সরকার পরিকল্পিতভাবেই বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢোকানোর চেষ্টা করছে। কারণ, ওই এলাকায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের প্রভাব বেশি। পাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কিছু হলেই ছাত্রলীগের ছেলেরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চারদিক থেকে হামলে পড়তে পারবে। বিএনপি চাইলেও ওই এলাকায় বেশি নড়াচড়া করতে পারবে না। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশলীগ মিলে যা খুশি তাই করতে পারবে। ওই যে শেখ হাসিনা বলেছেন, হেফাজতের মতো উচিত শিক্ষা দেবেন। তিনি সেটাই করবেন।

এদিকে রাজনীতিক বিশ্লেষকরাও মনে করছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কোনোভাবেই বিএনপির সমাবেশ করা ঠিক হবে না। বিএনপি নেতারা যদি সরকারের ফাদে পড়ে সেখানে যায় তাহলে তাদেরকে চরম মাশুল দিতে হবে।

সম্পর্কিত সংবাদ

Home Post

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫
Home Post

সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

আগস্ট ১০, ২০২৫
Home Post

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

মে ৩১, ২০২৫

Discussion about this post

জনপ্রিয় সংবাদ

    সাম্প্রতিক সংবাদ

    রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

    সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫

    সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

    আগস্ট ১০, ২০২৫

    জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

    মে ৩১, ২০২৫

    মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

    মে ২১, ২০২৫

    ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

    মে ২১, ২০২৫

    © Analysis BD

    No Result
    View All Result

    © Analysis BD