অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে কয়েক লাখ কোটি টাকা ডাকাতি করেছিল শেখ হাসিনার পরিবার। হাসিনার নির্দেশে ও তার ছেলে দুর্নীতির বরপুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশনায় এবং তৎকালীন গভর্নর আতিউর রহমানের সহযোগিতায় কিছু ডাকাত রিজার্ভ থেকে এই সরিয়েছিল। সেই টাকা এখন পর্যন্ত ফিরে আসেনি। কিন্তু এর মধ্যে আবারো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ২ বিলিয়ন তথা ২০০ কোটি ডলার গায়েব হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ইপিবি’র পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকও রপ্তানি আয়ের হিসাব রাখে। প্রতি অর্থবছরে কত হাজার মিলিয়ন ডলার রপ্তানি থেকে আসে সেটার বিস্তারিত হিসাব রাখে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবং সেই হিসাব তারা ওয়াইব সাইটেও প্রকাশ করে।
২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের হিসাবে দেখা গেছে, ওই বছর রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৩৫,৩৪১ মিলিয়ন ডলার।
কিন্তু ২০২০-২০২১ অর্থবছরে এসে বাংলাদেশ ব্যাংক দেখিয়েছে ৩৩,৩৭৪ মিলিয়ন ডলার। এখানে প্রায় ২ হাজার মিলিয়ন বা ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কম দেখানো হয়েছে। ইতমধ্যে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল এ নিয়ে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২ বিলিয়ন ডলারের হিসাব গায়েব হওয়ার সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশের পরই পুরো ব্যাংকজুড়ে উদ্বেগ-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ, ২০১৬ সালের সেই রিজার্ভ চুরির কথা তারা এখনো ভুলতে পারেনি। এর মধ্যে আবার ২ বিলিয়ন ডলারের হিসাব উধাও হওয়ার ঘটনা ব্যাংকারদেরকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আবুল কালাম আজাদ একটি গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিষয়টা তাদের পর্যালোচনা আছে। এটা নিয়ে আরো আলোচনা করে তারা পরে জানাবে।
এদিকে, ২ বিলিয়ন ডলারের হিসাব গায়েব হওয়ার খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদরাও। সিপিডির ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ২ বিলিয়ন ডলারের হিসাব গায়েব হওয়ার বিষয়টি নিসন্দেহে চিন্তার বিষয়। এমন ঘটনা ঘটে কিভাবে?
Discussion about this post