২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পুরানা পল্টন মোড়ে প্রকাশ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে হাজার হাজার মানুষের সামনে ইসলামী ছাত্রশিবির ও জামায়াতের সাত নেতাকর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এছাড়াও সারাদেশে মোট ১৪ জনকে হত্যা করা হয়।
২৯ অক্টোবর এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে খুনী সাব্যস্থ করে ৪৬ জন খুনীর নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। সেই খুনীদের তালিকা দেওয়া হলো।
১. শেখ হাসিনা,
২. আব্দুল জলিল,
৩. মোহাম্মদ নাসিম,
৪. রাশেদ খান মেনন,
৫. হাসানুল হক ইনু
৬. জাহাঙ্গীর কবির নানক,
৭. মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া
৮. সাহারা খাতুন
৯. হাজী সেলিম
১০. ডা: এইচ বি এম ইকবাল,
১১. মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী,
১২. সিদ্দিক নাজমুল আলম,
১৩. আব্দুস সালাম ওরফে সেলিম,
১৪. সবুজ,
১৫. আলী,
১৬. মনা,
১৭. রতন,
১৮. আবুল,
১৯. বাবু ওরফে নাজির আহম্মদ,
২০. জাকির ওরফে জাকির হোসেন,
২১. শফিকুল ইসলাম,
২২. সালাউদ্দিন খোকন,
২৩. সুলতান মিয়া,
২৪. আবুল কাশেম,
২৫. আলমগীর ওরফে গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর,
২৬. নওসের আলী,
২৭. আব্দুল লতিফ ওরফে ক্ষ্যাপা,
২৮. মো: জাকির হোসেন,
২৯. শাহরিয়ার ওরফে সোহেল শাহরিয়ার,
৩০. শাহাবুদ্দিন কিরণ,
৩১. জাহাঙ্গীর হায়দার চৌধুরী,
৩২. আশরাফ হোসেন,
৩৩. টিটু,
৩৪. ওমর ফারুক,
৩৫. রাসেল,
৩৬. মজিবুর রহমান মাইজ্জা,
৩৭. বেলায়েত হোসেন,
৩৮. আবু সাঈদ,
৩৯. বশির আহম্মদ,
৪০. কিরণ ওরফে আব্দুল মালেক,
৪১. শাহরিয়ার,
৪২. জাহাঙ্গীর আলম,
৪৩. মোস্তাকিম বিল্লাহ,
৪৪. মুকুল রায়
৪৫. মোহন শীল ও
৪৬. সুমন।
মামলাটি করেন পল্টন থানা জামায়াতের তৎকালীন আমির এ টি এম সিরাজুল হক। এ মামলায় ২০০৭ সালের ১০ এপ্রিল ৪৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করা হয়। চার্জশিট নম্বর ১৪৪।
চার্জশিট হওয়ার পর হাসিনাসহ খুনীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। পরে হাইকোর্ট থেকে খুনীরা পরোয়ানা স্থগিত করে।
২০০৯ সালে হাসিনা সরকার গঠন করার পর নির্বাহী আদেশে এই মামলা প্রত্যাহার করে।
জামায়াত নেতারা বলছেন, অচিরেই এই মামলাটি পুনর্জীবীত হবে। আগে যাদের চিহ্নিত করা গেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পরবর্তীতে যাদের চিহ্নিত করা গেছে মামলা পুনরায় চালু করে তাদের নামও যুক্ত করা হবে।
Discussion about this post