অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
দেশের ব্যাংকিং খাত নিয়ে নতুন করে আর কিছু বলার নেই। দেশের পুরো ব্যাংক খাত এখন একেবারে খাদের কিনারে দাড়িয়ে আছে। এমনকি বেশ কয়েকটি ব্যাংক বর্তমানে খাদের দিকে ঝুকে আছে। যেকোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে।
বর্তমান গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নেয়ার পরই অ্যানালাইসিস বিডির একটি প্রতিবেদনে বিস্তারিত বলা হয়েছিল যে শেখ হাসিনা কি উদ্দেশ্যে এই আমলাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব দিয়েছে। আব্দুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শেখ হাসিনা ও তার পালিত ব্যবসায়ীদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য যা যা করা দরকার তাই করে যাচ্ছেন।
একটা বিষয় দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে পুরো ব্যাংকিং খাত এখন অনিয়ম, দুর্নীতি আর জালিয়াতিতে ভরপুর। কাগজে প্রতিষ্ঠান তৈরি করে সরকারের পালিত ব্যবসায়ীরা ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি লোনের নামে হাতিয়ে নিচ্ছে। এসব টাকা নিয়ে বিদেশে পাচার করছে। বিশেষ করে শেখ হাসিনার ডোনার হিসেবে পরিচিত এস আলম গ্রুপ, শিকদার গ্রুপ, বেঙ্গল গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপসহ আরো কয়েকটি গ্রুপের ব্যবসায়ীর মূলত বর্তমানে দেশের ব্যাংকিং খাত নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা মিলে মিশে বিভিন্ন নামে ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু এসব অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিয়ে এগুলো চাপাদিতে কাজ করছে বর্তমান গভর্নর।
আব্দুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নেয়ার পরই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করে। যাতে সাংবাদিকরা কোনো অনিয়ম দুর্নীতির নিউজ পেতে না পারে। ব্যাংক বিটের সাংবাদিকদের প্রতিবাদের মুখে পরে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।
অনিয়ম দুর্নীতি চাপা দিতে এখন আবার নতুন পথ বেছে নিয়েছেন গভর্নর তালুকদার। আর এই কাজে তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান।
জানা গেছে, সম্প্রতি বিভিন্ন ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট বিভাগের ১০ জন কর্মকর্তাকে শো-কজ নোটি দিয়েছে কাজী সাইদুর রহমান। নোটিশে তিনি এসব তথ্য কিভাবে গণমাধ্যমে গেল তা জানতে চেয়েছেন।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, এসব শোকজ নোটিশের পর পুরো ব্যাংকজুড়ে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা সব সময় আতঙ্কে থাকনে কখন কার বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ আসে।
তবে, গভর্নর আর ডেপুটি গভর্নরের এমন সিদ্ধান্তে ব্যাংকের অধিকাংশ কর্মকর্তা ক্ষুব্ধ। তারা মনে করছেন, দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী ব্যবসায়ীদের স্বার্থে কাজী সাইদুর রহমান ও গভর্নর এসব করছে। এর ফলে দেশের ব্যাংকিং সেক্টর এক সময় ধসে পড়বে বলেও মনে করেন তারা।
Discussion about this post