অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার হল স্বাধীনতা পদক। সর্বোচ্চ এই পুরস্কারটি নিয়ে শেখ হাসিনা এবারও বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। রাষ্ট্রের সম্মানিত, সর্বজন শ্রদ্ধেয় কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীসহ যারা রাষ্ট্রের বিভিন্ন অসামান্য অবদান রেখেছেন শুধু তাদেরকেই সর্বোচ্চ এই পদক দেয়া হয়।
কিন্তু বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রের এই সর্বোচ্চ পদকটিকেও দলীয়করণ করে ফেলেছে। দলীয় বিবেচনায় এখন দেশে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হয়। অখ্যাত, কুখ্যাত, দলবাজ, তেলবাজ ও চাটুকারদেরকে রাষ্ট্রের এই সর্বোচ্চ পদক দিয়ে স্বাধীনতা পুরস্কারের মর্যাদা একেবারে নষ্ট করে ফেলেছে।
দেখা গেছে, ২০২১ সালে রইজ উদ্দিন নামে অখ্যাত এক ব্যক্তিকে সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করে সরকার। এনিয়ে শুধু সমালোচনা হয়নি, প্রচণ্ড ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষ। আর চলতি বছর ২০২২ সালে শুধু অখ্যাত নয়, একজন খুনি ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়েছে শেখ হাসিনা। যদিও মানুষের সমালোচনার মুখে সরকার কথিত সাহিত্যিক আমির হামজার পদক বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে।
দেখা গেছে, কথিত এই আমির হামজাকে দেশের বিশিষ্টজনতো দূরের কথা সাধারণ মানুষও চিনে না। কথিত আমির হামলা শেখ মুজিবও শেখ হাসিনার বন্দনা গেয়ে দুইখানা পুতি বই রচনা করেছেন। আরও আশ্চর্য্যরে বিষয় হল-তার ছেলে ছাড়া দুইখানা বইয়ের নামও আজ পর্যন্ত কেউ শুনেনি।
জানা গেছে, আসাদ নামে তার এক ছেলে সরকারি কর্মকর্তা। তিনিই মূলত তার বাবার স্বাধীনতা পদকের জন্য বই দুইখানা তড়িগড়ি করে ছাপিয়েছেন। কিন্তু পুরস্কার আর ঘরে নিতে পারলেন না। এর আগেই পুরস্কার বাতিল হয়ে গেল।
বিশিষ্টজন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কথা একটাই-বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার স্বাধীনতা পদকের জন্য এখন আর যোগ্যতার দরকার নাই। শেখ মুজিব আর শেখ হাসিনার বন্দনা গেয়ে কিছু লিখতে পারলেই যথেষ্ট মুজিব আর হাসিনা বন্দনাই এখন স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ার বড় যোগ্যতা।
Discussion about this post