বুধবার, নভেম্বর ৫, ২০২৫
Analysis BD
No Result
View All Result
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home Home Post

ভারতের কৃষকদের কাছে পরাজয় স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন মোদী

নভেম্বর ১৯, ২০২১
in Home Post, slide, আন্তর্জাতিক
Share on FacebookShare on Twitter

অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক

অবশেষে কৃষকদের তোপেরে মুখে উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাবের নির্বাচনের মুখে তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানালেন নরেন্দ্র মোদী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশ্যে এক ভাষণে বলেছেন, তিনটি কৃষি আইন তার সরকার প্রত্যাহার করে নেবে।

কৃষকদের আন্দোলনের কাছে নতি স্বীকার করতে হলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এতদিন ধরে তিনি গোঁ ধরে বসেছিলেন যে, কৃষি আইন বাতিল করা হবে না। কিন্তু এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দিল্লির সীমানায় কৃষকদের আন্দোলন অবশেষে জয় পেল। অবশেষে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করলেন মোদী।

শুক্রবার সকালে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই কৃষি আইন ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানান তিনি। ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সংসদে কৃষি আইন পাশ করে বিজেপির সরকার। মোট তিনটি বিষয়ে সেখানে পুরনো কৃষি আইনের আমূল পরিবর্তন করা হয়েছিল। এর আগে জুন মাসে সংসদে ওই আইনের অর্ডিন্যান্স নিয়ে এসেছিল সরকার। তখন থেকেই আইনটি নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানার বড় অংশের কৃষক জানিয়ে দেয়, এই আইন তারা কোনোভাবেই মানবেন না। তারপরেও বিতর্কিত বিলটিকে আইনে পরিণত করে কেন্দ্রীয় সরকার।

সরকারের ওই পদক্ষেপে দেশজুড়ে কৃষক আন্দোলন শুরু হয়। দিল্লির সীমানায় ক্যাম্প করে বসে পড়েন কৃষকরা। তাদের উপর পুলিশ লাঠি চালিয়েছে, জলকামান চালিয়েছে। প্রচুর আন্দোলনকারী বিক্ষোভ দেখাবার সময় মারা গেছেন। কিন্তু আন্দোলন থামানো যায়নি। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দিল্লির সীমানায় লাগাতার আন্দোলন জারি রেখেছেন তারা। ২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি আন্দোলনরত কৃষকরা লালকেল্লা পর্যন্ত মিছিল করেন। কৃষকদের সেই মিছিল ঘিরেও বিতর্ক হয়েছিল। কিন্তু কৃষক আন্দোলন বন্ধ হয়নি।

উত্তরপ্রদেশ আর পাঞ্জাবে ভোটে জিততেই এই কৌশল?
এই বিক্ষোভে সবচেয়ে বড় সংখ্যায় অংশ নিচ্ছেন পাঞ্জাব আর উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা – যে দুটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। ওই দুটি রাজ্যে কৃষকদের ভোট বিরুদ্ধে চলে গেলে বিজেপির জয় অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়তো বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। সে জন্যই তিনটি বিতর্কিত আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার, এমনটাই মনে করছেন তারা।

এছাড়াও এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে চলা বিক্ষোভের ওপর দিয়েই গাড়ি চালিয়ে কয়েকজন কৃষক ও এক সাংবাদিককে হত্যা করেন বলে একটি ভিডিওতে দেখা গেছে। সেই মন্ত্রীর ছেলেকে ওই অভিযোগে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

যদিও এর আগে জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক রক্ষাকবচ প্রত্যাহার বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রণয়নের মতো বিতর্কিত ইস্যুগুলি নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হলেও ওই সব সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসেনি নরেন্দ্র মোদীর সরকার।

কৃষক বিক্ষোভের নেতারা অবশ্য বলছেন, এখনই তাদের অবস্থান বিক্ষোভ শেষ হয়ে যাবে না। তারা অপেক্ষা করবেন সংসদে সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তিনটি আইন প্রত্যাহার করার জন্য।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষকদের জন্য নয়, মোদী এই ঘোষণা করতে বাধ্য হলেন উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে। উত্তরপ্রদেশে এখন যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে বিজেপি সরকার চালাচ্ছে। কিন্তু আগামী নির্বাচন বিজেপির জন্য খুব সুখকর নয় বলেই বিজেপির অন্দরের রিপোর্ট। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ কার্যত উত্তরপ্রদেশে গিয়ে বসে আছেন। তেলের দাম, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মানুষ যে খুশি নয়, তা বুঝতে পারছেন বিজেপি নেতৃত্ব। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের প্রচুর কৃষক দিল্লি সীমানায় আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জাঠ ভোট বিজেপি থেকে সরে যাচ্ছিল বলেই মনে করছেন বিজেপির নেতারা। এই পরিস্থিতিতে ভোট ফেরানোর লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী এ কাজ করলেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কৃষক আন্দোলনের জয়: বলছেন বিরোধীরা

পাঞ্জাবে কৃষকরা বিজেপি-র উপর প্রবল ক্ষুব্ধ ছিলেন। হরিয়ানায় তারা বিজেপি নেতাদের গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছিলেন না। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে কৃষকদের ক্ষোভ তীব্র ছিল। উত্তরাখণ্ডেও। সবদিক বিবেচনা করেই মোদী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে বিজেপি নেতারা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে কৃষক আন্দোলনের জয়।

কৃষক নেতা ও স্বরাজ পার্টির প্রধান যোগেন্দ্র যাদব বলেছেন, ”এই সরকার ও প্রধানমন্ত্রী এতদিন কৃষকদের কথা শোনেনি। তারা কৃষকদের অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে ফেলেছে। কৃষকরা অর্ধাহারে থেকেছেন, অনাহারে থেকেছেন। সরকার কিছুই করেনি। এখন তারা ভোটে হারবে বলে কৃষি আইন প্রত্যাহার করলো। এই সরকার শুধু এই ভাষাটাই বোঝে।”

রাহুল গান্ধী টুইট করেছেন, ‘দেশের অন্নদাতারা সত্যাগ্রহের মাধ্যমে অহংকারের মাথা ঝুঁকিয়ে দিয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে এই জয়ের জন্য অভিনন্দন।’

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি লিখেছেন, ‘যে কৃষকরা অবিরাম লড়াই চালিয়ে গেছেন, আর বিজেপির নিষ্ঠুরতার সামনেও যারা ভয় পান নি, তাদের প্রত্যেককে আমার আন্তরিক অভিনন্দন।’

সম্পর্কিত সংবাদ

Home Post

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫
Home Post

সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

আগস্ট ১০, ২০২৫
Home Post

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

মে ৩১, ২০২৫

Discussion about this post

জনপ্রিয় সংবাদ

  • রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর: ১৫ বছর পরেও বেপরওয়া খুনিরা, সুবিচার পায়নি শহীদ পরিবার

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • Trademark Web based poker Crazy Expensive diamonds Gambling enterprise Video slot Genuine Imitation Financial

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • পাহাড়ে পরিকল্পিতভাবে বাঙালি উচ্ছেদ ও ডি ইসলামাইজেশন করা হচ্ছে

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ঢাবি ভর্তি আবেদনের ছবিতে মেয়েদের ওড়না নিষিদ্ধ!

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫

সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

আগস্ট ১০, ২০২৫

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

মে ৩১, ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মে ২১, ২০২৫

ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

মে ২১, ২০২৫

© Analysis BD

No Result
View All Result

© Analysis BD