অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
অবিরাম বৃষ্টি আর সীমান্তের ওপারে উজানের ঢল নেমে আসায় তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। এরই মধ্যে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত। যার ফলে নদ-নদীর পানি আকস্মিকভাবে বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। বন্যার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তিস্তার ৬৩টি চরের মানুষ। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা।
অন্যদিকে মহামারি কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ যেন গরু মেরে জুতা দান।
দেখা গেছে, ২১ জুন আন্তর্জাতিক ইয়োগা দিবস উপলক্ষে লেখা ওই চিঠিতে মোদি বলেন, আমি এখনো আশাবাদী যে মানবতায় সাহায্যে এই মহামারি শিগশিরই কাটিয়ে উঠা যাবে। কিন্তু মহামারি কাটিয়ে ওঠার আশাবাদ ব্যাক্ত করে বন্যার পরিস্থিতিই সৃষ্টি করলো ভারত তা নিয়ে তা নিয়ে সচেতন মহলে চলছে তুমুল সমালোচনা।
জানা গেছে, গত ১০ দিনে তিস্তার ভাঙনে ৩০টি পরিবারের বাড়িঘর নদীতে বিলিন হয়েছে। আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের কুটিরপাড় এলাকার বালুর বাঁধ, সদর উপজেলার গোকুণ্ডা, ইউনিয়নের ভাঙন বেড়েই চলছে। সেখানে বসবাসরত মানুষ আতঙ্কে দিন যাপন করছে।
তিস্তার পানি বৃদ্ধি সম্পর্কে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) আব্দুল আল মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, উজানের ঢল ও বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীতে হু হু করে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
পাটগ্রামের দহগ্রাম; হাতিবান্ধার গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, ডাউয়াবাড়ী; কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী; আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী; সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে পারে যে কোনো সময়।
এছাড়া ভ্যাকসিনের উৎপাদন বাড়লে আদৌ বাংলাদেশ টিকা পাবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা জানিয়ে বিক্রম দোরাইস্বামী। তিনি বলেছেন ভারতের করোনা পরিস্থিতি এখনো বিপজ্জনক পর্যায়ে। তাই বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেয়ার বিষয় নির্দিষ্ট সময় বলতে পারছি না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত কখনই বাংলাদেশের ভালো চায় না। একদিকে মোদি মহামারি কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন কিন্তু টিকা দিতে ব্যর্থতা জানাচ্ছেন। অন্যদিকে ভারতকে বাঁচাতে তিস্তা ব্যারেজ খুলে দিচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে। এই ঘটনা প্রথমবার নয় তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারত কখনও সমঝোতা করেনা। প্রতিবারই তিস্তার পানিতে প্লাবিত হয় বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ। এটা ভারতের এক ধরনের নাটক।
Discussion about this post