করোনার ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকতে এবং আপনজনদের মুক্ত রাখতে এ সময় ঘরে থাকা জরুরি। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য আর বাড়িতে থাকার সময় প্রত্যেকের বাড়িতেই কিছু খাবার-দাবার মজুদ করে রাখাও অত্যন্ত জরুরি। বাড়িতে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর এমন কিছু খাবার রাখতে পারেন, যা আপনার কোয়ারান্টাইন সময়ে বেশ কাজে লাগবে।
চাল ও শস্যের আইটেম, যেমন- গম, ওটস, চাল, মুগ ডাল, ছোলা ও মসুর ডাল ইত্যাদি বেশি করে কিনে রাখুন। এগুলো হলো পারফেক্ট কোয়ারান্টাইন ফুড।
এগুলো আপনি প্রতিদিন বিভিন্ন রকমভাবে তৈরি করে খেতে পারবেন এবং অনেক দিন ধরে মজুদ রাখতে পারবেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, সুস্থ থাকুন পুষ্টির ক্ষেত্রে, চাল ও শস্য আপনাকে প্রোটিন, ডায়েটারি ফাইবার ও শক্তি দেবে।
এ ছাড়া চাল ও শস্যগুলো সহজেই নষ্ট হবে না। আপনি এগুলো এয়ারটাইট কৌটায় ঠাণ্ডা ও শুষ্ক জায়গায় অনেক দিন পর্যন্ত রাখতে পারবেন।
শাকসবজির মধ্যে আলু, গাজর, বাঁধাকপি, ব্রোকলি, ফুলকপি ও ক্যাপসিকাম ইত্যাদি। তবে সবজিগুলোতে শুকনো জায়গায় এবং সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখবেন। গাজর ও ফুলকপি ফ্রিজে এবং আলু বাইরে রাখলে এগুলো দীর্ঘদিন ভালো থাকবে। ফুলকপিটি ধুয়ে বা কেটে রাখবেন না।
ফলের মধ্যে হলো- কলা, আপেল, আঙুর ও কমলালেবুর মতো দীর্ঘস্থায়ী ফলগুলো এ সময়ের সেরা বিকল্প। এগুলো শুধু স্বাস্থ্যকর ফলই নয়, এগুলো দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবারও তৈরি করা যায়।
কমলা ও আঙুর ভিটামিন-সি-সমৃদ্ধ, যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে। ড্রাই ফ্রুটস যেমন_ শুকনো ডুমুর বা কিশমিশও আপনার খাদ্যতালিকায় যুক্ত করতে পারেন। বীজজাতীয় ও বাদাম কুমড়োর বীজ প্রোটিনের পাশাপাশি ফাইবার সরবরাহ করে।
এ ছাড়া আমন্ড, অ্যাপ্রিকট (খুবানি) ও কাজুবাদামও প্রোটিনসমৃদ্ধ। তাই এগুলোও খেতে পারেন। এ ছাড়া কয়েক ধরনের পেস্তা কিনে রাখতে পারেন। কারণ, এই খাবারগুলো দীর্ঘদিন থাকে এবং যখন প্রয়োজন তখন আপনি নানাভাবে খেতে পারবেন।
পনির, পাউরুটি কফি, চা লবণ, মরিচ ও মসলা রান্নার তেল এবং প্রয়োজনীয় মসলা জ্যাম ও সস কিনে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। গুঁড়ো দুধ, চা পাতা, চিনিও কিনে রাখুন। কয়েক ধরনের বিস্কুট, মুড়ি-চানাচুর নাশতার জন্য কিনে রাখতে পারেন। এ ছাড়া কয়েক ডজন ডিম।