অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
পিতার পর এবার কন্যাও সেই চোরদের কাছে হার মানলেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হার মেনেছিলেন দলের কম্বল চোর নেতাকর্মীদের কাছে। দীর্ঘ ৫০ বছর পর তার মেয়ে শেখ হাসিনা হার মানলেন দলের চাল চোর নেতাকর্মীদের কাছে।
শেখ হাসিনার কোনো হুঙ্কারকেই পাত্তা দিল না দলের চাল চোর আওয়ামী নেতারা। তিনি একাধিকবার চাল চোরদের বিষয়ে হুমকি-ধামকি ও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তার কোনো হুমকিই কাজে আসেনি। এরপর চাল চোরদের শাস্তি দিতে প্রজ্ঞাপন জারি করলেন। তাদের ডিলারশীপ বাতিল করলেন। এসবের পরও আ.লীগ নেতাদের চাল চুরি বন্ধ হয়নি। সর্বশেষ, দলের চাল চোর নেতাদের সঙ্গে না পেরে গরিবের খাদ্য সহায়তা ১০ টাকা কেজির ওএমএসের চাল বিক্রি বন্ধ করে দিলেন শেখ হাসিনা।
সোমবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজির চাল বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে অধিক জনসমাগমের কথা বলা হলেও কর্মকর্তারা বলছেন-সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে চুরি-লুটপাটের কারণেই মূলত এই চাল বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে।
সরকারের এই চাল বিক্রি বন্ধের প্রজ্ঞাপন জারির পর সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
অনেকেই বলছেন, সরকার কি তাহলে চাল চোরদের কাছে অসহায়? শেখ হাসিনা চোরদের কাছে নতিস্বীকার করেছে? না হলে, আওয়ামী লীগের চাল চোরদের নেতাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে গরিবের সহায়তা বন্ধ করলো কেন?
সচেতন মানুষ বলছেন, সরকারের দায়িত্ব হলো চুরি-লুটপাট বন্ধ করা। চোরগুলোকে গ্রেফতার করে জেলে ভরা। কিন্তু সরকার সেটা না করে এই দুর্যোগের সময় চাল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু গরিব-অসহায় নয, অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারেরও এখন বাজার থেকে বেশি দামে চাল কেনার সামর্থ্য নেই। মহামারী করোনা দুর্যোগের কারণে ব্যবসা বাণিজ্য সব বন্ধ। ইতিমধ্যে অনেকের চাকরিও চলে গেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় মানুষ কাম-কাজের জন্য কোথাও যেতেও পারছে না। অথচ, সরকার এ বিষয়গুলোকে বিবেচনায় না নিয়ে হঠাৎ করে সারাদেশে ১০টাকা কেজির চাল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের প্রশ্ন-আওয়ামী লীগের চাল চোর নেতাদের জন্য সাধারণ মানুষ কষ্ট করবে কেন? সরকারের উচিত হবে, মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে পুনরায় চাল বিক্রি শুরু করা।