অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
ভূমি দখলকারী ও গডফাদার হিসেবে খ্যাত নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের এমপি ও পাটবস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে কথিত অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা স্বাধীনতা পুরুস্কারের জন্য মনোনীত করেছে সরকার। এনিয়ে শুক্রবার জমি দখলকারী সেই গোলাম দস্তগীর পাচ্ছে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ শিরোনামে অ্যানালাইসিস বিডিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে ভূমিদখলকারী ও রূপগঞ্জের গডফাদার গোলাম দস্তগীর গাজীর কিছু অপরাধ কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে শুধু ভূমি দখল নয় এছাড়াও মাদক,চোরাকারবারসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এই গাজী দস্তগীর।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে একজন ভূমি দখলকারী ও সন্ত্রাসীদের গডফাদারকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা স্বাধীনতা পুরুস্কারের জন্য শেখ হাসিনা কিভাবে মনোনীত করলেন? আরও অনেক মুক্তিযোদ্ধা ও বীরপ্রতিক রয়েছেন, যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন। যারা এখনো দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য বিভিন্ন সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এমনকি আওয়ামী লীগের মধ্যেও এমন অনেক মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে।
এসব ব্যাক্তিদের সম্মাননা না দিয়ে শেখ হাসিনা একজন গডফাদারকে বেছে নিলেন কেন? নেপথ্যে কি?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোলাম দস্তগীর গাজী একজন ভূমি দখলকারী ও গডফাদার এটা শেখ হাসিনা নিজেও জানেন। শেখ হাসিনার কাছে এখন ভাল মানুষের চেয়ে টাকার গুরুত্ব অনেক বেশি। টাকাওয়ালা লোকগুলোই শেখ হাসিনার কাছে সবচেয়ে ভাল মানুষ। যারা শেখ হাসিনাকে মোটা অংকের টাকা দিতে পারে তাদের জন্য শেখ হাসিনার সব দরজায় খোলা।
একটি সূত্রে দাবি করছে, শেখ হাসিনা এবার স্বাধীনতা পুরস্কার টাকার বিনিময়ে গোলাম দস্তগীর গাজীর কাছে বিক্রি করেছেন। এই পদক পাওয়ার জন্য গোলাম দস্তগীর গাজী শেখ হাসিনাকে হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন। হাজার কোটি টাকা দিয়ে শেখ হাসিনার কাছ থেকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা স্বাধীনতা পুরুস্কার কিনেছে গোলাম দস্তগীর গাজী।
অন্য একটি জানা গেছে, শেখ হাসিনা দস্তগীরের মত দস্যুদেরকে দলে ধরে রাখতে চান। আগামী দিনে সরকারকে টিকিয়ে রাখতে প্রভাবশালী নেতাদের বিকল্প দেখছেন না আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। তাই নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য হলেও এরকম ভূমি দস্যু প্রয়োজন। এজন্য আওয়ামী লীগের অন্য নেতারা এই পুরস্কারের দাবি জানালে শেখ হাসিনার ইশারাতেই দস্তগীরকে নির্বাচন করা হয়।