অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
আবারও লুট হয়ে গেল দেশের প্রধান পুঁজিবাজার হিসেবে খ্যাত শেয়ারবাজার। কথিত ছেলেধরার আড়ালে নিজের উপদেষ্টা ও দরবেশ খ্যাত সালমান এফ রহমানকে দিয়ে শেয়ারবাজার থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছে শেখ হাসিনা। শেয়ারবাজারে বড় ধরণের একটা অঘটন ঘটতে পারে বলে আগেই অনেকের ধারণা ছিল।
কারণ, বিশাল অংকের ঘাটতির বাজেট পেশের পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেয়ারবাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীদেরকে আগাম সতর্ক করে আসছিলেন। বিগত দেড় মাসের মধ্যে শেখ হাসিনা একাধিক সভা-সেমিনারে বুঝে শুনে লোকজনকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন। এমনকি সবটাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ না করারও নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনার এসব উপদেশ-পরামর্শ শুনে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকসহ অনেক বিনিয়োগকারী ধারণা করেছিলেন যে শেয়ারবাজারে শেখ হাসিনার কালো হাতটা আবার পড়বে। কারণ, দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। ব্যাংক থেকে নেয়ার মতো আর কোনো টাকা নেই। যা শেখ হাসিনা নিজেই স্বীকার করেছেন। আর দুর্নীতি-লুটপাট করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারও ফুতুরও করে দিয়েছে তিনি। এখন দেশ চালানোর মতো পর্যান্ত অর্থ তার হাতে নেই। তাই দীর্ঘদিন ধরে শেখ হাসিনার চোখটা ছিল শেয়ারবাজারের দিকে। এজন্য তিনি একটা সুযোগ খুজতে ছিলেন। কথিত এই ছেলেধরা সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মাত্র ১৫ দিনে শেয়ারবাজার থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছে। এরমধ্যে শুধু একদিনেই লুট হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা।
জানা গেছে, গত ৩০ জুন চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পাস হওয়ার পর থেকে সোমবার পর্যন্ত মাত্র ১৫ কার্যদিবসে বিনিয়োগকারীদের লোকসান হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা। শেয়ারের মূল্যমান কমে যাওয়ায় প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকা থেকে ডিএসইর বাজার মূলধন নেমে এসেছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকায়। এর মধ্যে এক দিনেই ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ারের মূল্যমান ৪ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা কমে বাজার মূলধন নেমে এসেছে ৩ লাখ ৭২ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকায়। লেনদেনযোগ্য শেয়ারসংখ্যার সঙ্গে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ারের বাজারমূল্যের গুণফলই বাজার মূলধন। বাজার মূলধনের পাশাপাশি একই সময়ে ডিএসইএক্স সূচকটি প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশ বা ৪৫৬ পয়েন্ট কমে গেছে। তার মধ্যে গত দুদিনেই কমেছে ১৬৫ পয়েন্ট।
একাধিক বিনিয়োগকারী বলেছেন, সারাদেশের মানুষ যখন কথিত ছেলেধরা নিয়ে ব্যস্ত তখনই সরকার শেয়ারবাজারে হাত দিয়েছে। লুটে নিয়েছে সাধারণ মানুষের ২৭ হাজার কোটি টাকা। আগের মতো এবার শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানই এ কাজ করেছে।
তারা বলছেন, শেখ হাসিনা যখন প্রতিদিন শেয়ারবাজার নিয়ে নসিহত করতেন, তখনই আমাদের সন্দেহ হয়েছিল। এখনতো শেখ হাসিনা বললেন যে, আমিতো আগেই সতর্ক করেছিলাম। ব্যবসায়ীরা আমার কথা শুনেনি। এখন সরকারের কিছুই করার নাই।