অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
খালেদা জিয়াকে গণতন্ত্রের মা উল্লেখ করে তার মুক্তির জন্য ধানের শীষে ভোট দিতে দেশের মুক্তিকামী জনতা, ধানের শীষের সমর্থক ও সকল ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির বিবৃতিটি অ্যানালাইসিস বিডির পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:
“দু:শাসনের শেকলে বন্দী বাংলাদেশে আর একদিন পরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে চলেছে। আজ আপনার হাতে সুবর্ন সুযোগ এসেছে স্বৈরশাসকদের হাত থেকে মুক্তিলাভের। দেশকে মুক্ত করার। সকল হুমকি-ধামকি, ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে দলে-দলে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার দিন ৩০শে ডিসেম্বর। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিজেদের সামর্থ্যে আস্থা রেখে ধানের শীষে ভোট দিন। আপনাদের একেকটি ভোটই নিশ্চিত করতে পারে নিরাপদ ও শান্তির বাংলাদেশ। মুক্ত করতে পারে ‘গনতন্ত্রের মা’ কারাবন্দী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। ভোট দিয়ে ভোট কেন্দ্র ত্যাগ করবেন না। ভোটের ফল বুঝে নিয়ে বিজয়ের বেশে তবেই ঘরে ফিরবেন। ফলাফল ঘোষনা না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করুন। দূর্বৃত্তরা যেন কোন সুযোগ না পায়।
ভোটার ও আওয়ামী দু:শাসন বিরোধী জনগণের প্রতি আহবান-আসুন, জেগে উঠুন কোটি-কোটি দেশপ্রেমিক সূর্য-সন্তান। তাহলেই রচিত হবে নতুন ইতিহাস। বিষাদ ঘনঘোর কাটিয়ে ৩০ ডিসেম্বরে উঠবে গণতন্ত্রের নতুন সূর্য। আপনারা যদি বীরদর্পে বেরিয়ে আসেন তাহলে হাজারও ভোটারের ভিড়ে গুটিকয়েক লোক কোনোভাবেই আপনাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না। সুতরাং আতœবিশ্বাস রাখুন, সাড়ে দশ কোটি ভোটারের এই শক্তিকে কেউ কোনোভাবে রুখতে পারবে না। বাংলাদেশের জনগণ ভীতু নয়। দুর্বার, সাহসী ও দুর্জয়। যার প্রমান আপনারা দিয়েছেন বারবার, বহুবার, প্রতিবার। এবারও এসেছে সেই চূড়ান্ত সময়।
ধানের শীষ প্রতীক মুক্তির প্রতীক, মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক, মুক্তিযাদ্ধাদের প্রতীক, গণতন্ত্রের প্রতীক, আবেগ ও প্রত্যাশার প্রতীক, উন্নয়ন অগ্রগতির প্রতীক, শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রতীক, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতীক, আপনার প্রতীক এবং দু:শাসন থেকে মুক্তির প্রতীক।
এই নির্বাচন দেশের মানুষের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ হচ্ছে গণতন্ত্র রক্ষা করার চ্যালেঞ্জ। আমাদের হাতে গণতন্ত্রের, শান্তির, স্বাধীনতার পতাকা আর তাদের হাতে দু:শাসনের খড়গ কৃপান। তাই শত প্রতিকুল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে আপনারা ভোট দিতে আসবেন। ভোট কেন্দ্রে আপনাদের আগমনে নীরবে ভোট বিপ্লব ঘটবে। দেশের মালিকানা বুঝে নিতে আপনার রায় দিতে ভোটকেন্দ্রে আসুন। সবাই মিলে ভোট পাহারা দিন। বিজয়ের এই মাসে দেশের কল্যাণে ভোট রক্ষা করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান, আপনারা দেশের সন্তান। অন্তত: একটা দিন দেশপ্রেমের সর্বোচ্চ নিদর্শন প্রদর্শন করুন। দেশের প্রতিও আপনাদের দায়িত্ব আছে। এতদিন সরকারের চাপে যা করেছেন এখন সময় এসেছে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের। দেশের কল্যাণের কথা চিন্তা করে, দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে সহযোগিতা করুন। দেশ আপনাদের অবদান স্মরন করবে।
মুক্তিযুদ্ধে সশরীরে লড়াই করেছিল ৫ লাখ তরুণ। আর আমাদের এখন আছে প্রায় আড়াই কোটি তরুণ ভোটার! আমাদের আছে প্রায় সাড়ে ১০ কোটি ভোটার। আমাদের আছে গৌরবের মুক্তিযুদ্ধ আর সংগ্রামী গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য। আমাদের আছে ১৬ কোটি জনগণ। এত বড় আবাবিল বাহিনীর সামনে আবরাহাদের হস্তী বাহিনী কী করতে পারবে ? জনগণের শক্তিই সবচেয়ে বড় শক্তি। এই শক্তির কাছে স্বৈরশাহীর সকল অস্ত্রই অকার্যকর প্রমানিত হবে, ইনশাআল্লাহ।”