অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচারণার প্রথম দিনেই সারাদেশে অসংখ্য স্থানে বিএনপি জামায়াত ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সরকারি দলের নেতাকর্মীরা এসব হামলা ভাংচুরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা অন্তত ১০-১২টি গাড়ি ভাংচুর করে।
এছাড়া নোয়াখালীতে নৌকার সমর্থকরা হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতা মওদুদের পথসভা পণ্ড করে দিয়েছে। এদিন সারাদেশে অন্তত ১৬টিরও বেশি স্থানে বিরোধী প্রার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা। হামলার সময় পুলিশকে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় দেখা গেছে। চাঁদপুরে পুলিশ বিএনপির মিছিলে লাঠিচার্জও করেছে।
বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত আওয়ামী লীগের হামলার অন্তত ১৬টি ঘটনা অ্যানালাইসিস বিডির পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
১। মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে হামলা
ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের গাড়ি বহরে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা অন্তত ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করে। মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের বানারহাট নামক স্থানে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বেলা ১ টার সময় ঠাকুরগাঁও-১ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার উদ্দেশ্যে সদর উপজেলাধীন বেগুনবাড়ী ইউনিয়নের দানারহাট এলাকায় পৌঁছলে ওঁৎ পেতে থাকা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান বনি আমিনের নেতৃত্বে পুলিশের ছত্রছায়ায় সরকারদলীয় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী অতর্কিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের গাড়ী বহরে আক্রমণ করে। সন্ত্রাসীদের হামলায় ১০/১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়। বেপরোয়া আক্রমণ চালিয়ে সন্ত্রাসীরা ১০/১২টি গাড়ীতে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
২। কবিরহাটে হামলায় মওদুদের পথসভা পণ্ড, আহত ৩০
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পথসভায় হামলা চালিয়ে পণ্ড করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়। এ সময় নির্বাচনী অফিস ও কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়।
জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসেবে সকালে কবিরহাট বাজার জিরো পয়েন্টে নোয়াখালী-৫ আসনের বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ পথসভা করার কথা ছিল। সকাল থেকে ওই স্থানে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে একত্রিত হতে থাকেন। বেলা ১২টার দিকে ঘোষবাগ থেকে বিএনপির মিছিল আসার সময় কবিরহাট দক্ষিণ বাজারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিলে হামলা চালালে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
৩। ময়মনসিংহে বিএনপির মিছিলে হামলা ও অফিস ভাঙচুর
ময়মনসিংহের তিনটি সংসদীয় আসনে বিএনপির নির্বাচনী গণসংযোগ, মিছিল ও দলীয় কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে নির্বাচনী কার্যালয়, প্রার্থীর গাড়ী ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। মঙ্গলবার পৃথক পৃথক হামলার ঘটনায় ৩৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন।
৪। বরিশাল বিমানবন্দরে বিএনপি প্রার্থীর বহরে হামলা
বরিশাল বিমানবন্দর এলাকায় ঝালকাঠি-২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জীবা আমিন খানের বহরে দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা থেকে বিমানে এসে মঙ্গলবার শেষ বিকালে ঝালকাঠির উদ্দেশে রওনা হলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জীবা আমিন খান জানান, গণসংযোগ ও প্রচারণায় অংশ নিতে তিনি ঢাকা থেকে বিমানে বরিশাল আসেন। নেতাকর্মীরা বহর নিয়ে তাকে আনতে বরিশাল বিমানবন্দরে উপস্থিত হন। ঝালকাঠির উদ্দেশে গাড়িতে উঠলে ‘জয়বাংলা’ স্লোগান দিয়ে কিছু লোকজন তার গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে তার বহরের চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে হামলাকারীরা।
৫। ধুনটে বিএনপি প্রার্থী সিরাজের গাড়ি বহরে হামলা
বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) নির্বাচনী এলাকার বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম মো. সিরাজের গাড়ি বহরে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে নৌকার সমর্থকরা। এ হামলায় তিনটি মাইক্রো-জিপ গাড়িসহ ৫০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং ২০জন নেতাকর্মী আহত হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় ধুনট উপজেলার ধুনট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
গোলাম মো. সিরাজ জানান, ‘ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে ধুনট উপজেলায় নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর জন্য মঙ্গলবার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী ছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা ধুনট সদর বাসস্ট্যান্ডে সমাবেত হতে থাকে। সকাল সাড়ে ১০টায় ধুনট বাজারে বিচ্ছিন্ন ভাবে ৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে নৌকা সমর্থক নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার পর বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করা হয়।’
৬। সিরাজগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে হামলা সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ, বিএনপি প্রার্থী ড. এমএ মুহিতের বাড়ির চেয়ার-টেবিল ও জানালার গ্লাস এবং একটি দোকান ভাঙচুর করা হয়।
শাহজাদপুর উপজেলা যুবদলের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানায়, এ দিন সকাল সোয়া ১১টার দিকে সে ও তার বড় ভাই শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে বসে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলাপ করছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের একটি মোটরসাইকেল বহর তাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েই তাদের দু’ভাইকে বেধড়ক মারপিট করে। এর কিছু সময় পরই তারা বিএনপি প্রার্থী ড.এমএ মুহিতের শক্তিপুরের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
৭। রাঙ্গাবালীতে বিএনপির সভাস্থলে আ’লীগের সভা আহ্বান, সংঘর্ষে আহত ৫০
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর সমর্থনে পাল্টাপাল্টি সভায় কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় উপজেলার খালগোড়া বাজারের রাঙ্গাবালী জাহাগিরিয়া শাহ সুফি মমতাজিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের উপস্থিতিতে এক সভার আয়োজন করা হয়।
পরে একইসময় ওই বাজারের বালুর মাঠে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মহিব্বুর রহমান মহিবের সমর্থকরাও সভার আয়োজন করে। এতে একই স্থানে পাল্টাপাল্টি সভা হওয়ায় দুই পক্ষের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায় বিকেল সাড়ে ৩টায় তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। দফায় দফায় দেড় ঘন্টাব্যাপী দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়।
৮। চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি প্রার্থীর গাড়িবহরে হামলা
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী শরীফুজ্জামান শরীফের গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সীগঞ্জ পশুহাট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় শরীফুজ্জমানের দুটি মাইক্রোবাসে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে বিএনপির দুইজন কর্মী আহত হয়ে।
৯। সিরাজগঞ্জে বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা
সিরাজগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, “হাইকোর্টে আমার মনোনয়নপত্র বিষয়ে বৈধতার রায় দেওয়ার পর সমর্থকরা সিরাজগঞ্জে মিছিল বের করলে এলাকায় নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর, গরুর খামারে আগুন দেওয়া হয়।”
১০। বগুড়ায় যুবদল কর্মীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
বগুড়ার ধুনটের রাঙ্গামাটি কুমারখালি গ্রামে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের দেয়া আগুনে এলাঙ্গী ইউনিয়ন যুবদল কর্মী মুরাদ হোসেনের বাড়ির দুটি ঘর ভস্মিভূত হয়েছে। এতে নগদ টাকা, গহনাসহ প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। আগুন দিতে বাধা দেয়ায় মারপিটে তার চাচা আবদুল কাদের আহত হন। এর আগে এলাঙ্গী বাজারে ছাত্রদল নেতাকর্মী নাহিদ হাসান ও মাসুদ রানাকে মারপিট করা হয়। যুবদল কর্মী মুরাদ হোসেন এ হামলার জন্য এলাঙ্গী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি এমএ তারেক হেলালকে দায়ি করেছেন।
১১। চাঁদপুরে ধানের শীষের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ
চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে ধানের শীষের মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। বিএনপি প্রার্থী এম এ হান্নান জানান, পুলিশের হামলায় অন্তত ৩০ জন আহত নয়েছে। এ ঘটনায় ২জনকে আটকও করেছে পুলিশ।
১২। নাটোরে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীর গাড়িতে হামলা
নাটোরের লালপুর উপজেলার ত্রিমোহনীতে ঐক্য ফ্রন্টভুক্ত কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রার্থী মনজুরুল ইসলামের গাড়িতে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা। সোমবার সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনায় মনজুরুল ইসলামসহ তিনজন আহত হয়েছে। এ সময় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটিতে ভাঙচুর চালায় নৌকার সমর্থকরা।
১৩। যশোরে ধানের শীষের পোস্টারে আগুন
যশোরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় টানানো ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে আগুন দিয়েছে নৌকার সমর্থকরা। এছাড়াও পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। মঙ্গলবার বিএনপির পক্ষ থেকে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে এই অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
১৪। ভোলায় বিএনপি প্রার্থীর বাড়িতে আ.লীগের হামলা
ভোলা-৪ আসনে বিএনপি প্রার্থী সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। নাজিম উদ্দিন জানান, এদিন তার বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হামলার আশঙ্কায় তিনি বাড়ি যাননি।
১৫। ভয়ে এলাকায় যেতে পারছেন না মেজর হাফিজ
রাজধানী থেকে সন্ত্রাসীরা ভোলা গিয়ে তার সংসদীয় এলাকায় অবস্থান নিয়েছে-এমন অভিযোগ করে ভোলা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ বলেছেন, এসব সন্ত্রাসীর ভয়ে এলাকায় যেতে পারছি না। তারা প্রকাশ্যে রাস্তাঘাটে অস্ত্র নিয়ে টহল দিচ্ছে এবং নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
ভোলা-৩ আসন থেকে ছয়বার নির্বাচিত হয়েছেন হাফিজউদ্দিন আহমদ। এই আসনে হাফিজের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের এমপি নুরুনব্বী চৌধুরী শাওন। হাফিজের অভিযোগ, সন্ত্রাসীরা তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে আঘাত করছে। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এবং নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-নির্যাতন বেড়ে চলেছে।
১৬। মঈন খানের নির্বাচনী প্রচারকার্যে হামলা-ভাঙচুর
নরসিংদী-২ পলাশ আসনে বিএনপির প্রার্থী ড. আব্দুল মঈন খানের নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রমে হামলা চালিয়েছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলাবার বিকালে নির্বাচনী এলাকার আমদীয়া ইউনিয়নের বেলাব নামক স্থানে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় হামলাকারীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও ৪টি মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এছাড়া এ ঘটনায় ছাত্রদল ও যুবদলের ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পলাশ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম।