অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
বিএনপি এবার ঢাকা-৪ আসনের জন্য মনোনয়ন দিয়েছে সালাহউদ্দিন আহমেদকে। আর বিকল্পপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়ে রেখেছে তারই সন্তান তানভীর আহমেদকে।
কিন্তু পিতা আর পুত্রের মধ্যে একদিকে বেশ মিল। আর তাহলো তাদের দুজনের বিরুদ্ধেই মামলার স্তুপ জমা পড়ে আছে। বাংলাদেশে আর কোথাও এ ধরনের নজির পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত দায়ের করা মামলার সংখ্যা ৮০টি। আর তার পুত্র তানভীর আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৭৫টি।
এই ১৫৫টি মামলাই দায়ের করা হয়েছে আওয়ামী আমলের কয়েক বছরের মধ্যে। শ্যামপুর, কদমতলী এবং যাত্রাবাড়ী থানার অধীনেই অধিকাংশ মামলা।
এর মধ্যে প্রায় সবগুলো মামলাই দায়ের করা হয়েছে বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ এর আওতায়। কিছু মামলা আছে পেনাল কোড ১৮৬০ এর আওতায়। রাজপথে সহিংসতা আর ভাংচুর প্রভৃতি গতানুগতিক অভিযোগেই সব মামলাগুলো দায়ের হয়েছে।
বর্তমানে বেশীরভাগ মামলাই বিচারিক আদালতে বিচারের অপেক্ষায় আছে। সালাহউদ্দিন ও তানভীর উভয়ই অবশ্য এ মুহুর্তে হাইকোর্ট থেকে জামিন লাভ করে মুক্ত আছেন।
সালাহউদ্দিন এর আগে আরো ১৪টি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন যা এরই মধ্যে নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। তানভীরের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৪টি মামলাও নিষ্পত্তি হয়েছে।
সালাহউদ্দিন এর আগে ৫ম, ৬ষ্ঠ এবং ৮ম জাতীয় সংসদে বিএনপির টিকেটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করায় সালাহউদ্দিন ও তানভীর দুজনেই গতকাল রিটার্নিং অফিসারের যাচাই বাছাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন কমিশন অবশ্য তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষনা করেছে।
বিএনপি সবসময়ই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নিপীড়ন, নির্যাতন ও গায়েবী মামলার অভিযোগ তুলে। আর আওয়ামী লীগও গতানুগতিকভাবে তা প্রত্যাখান করে। আওয়ামী বুদ্ধিজীবিরাও প্রায়শই বলেন যে বিএনপি আমলেও এভাবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এমন উদাহরন আওয়ামী লীগ একটাও দিতে পারবেনা যেখানে একই পরিবারের দুজন বিশেষ করে পিতা ও পুত্রের বিরুদ্ধে ১৫৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
অন্যদিকে বিএনপি তার প্রতিদিনের সাদামাটা রাজনৈতিক বক্তব্যের বাইরে এই ধরনের মর্মান্তিক বাস্তবতাকে আলাদা করে তুলে ধরতে পারেনা বলেই জনগনের কাছে আওয়ামী অপশাসনের জঘন্যতম বর্বরতাগুলোকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়না।