অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
দলীয়ভাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদেরসাক্ষাৎকার শেষ করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের অন্যান্য দলগুলোও। ইতিমধ্যে বিএনপি জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ১৯টি দল তাদের চাহিদা অনুযায়ী আসনের তালিকা বিএনপিকে দিয়েছে। অপরদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল গণফোরাম, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য ও কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগও তাদের তালিকা প্রস্তুত করেছে। দু-একদিনের মধ্যেই তারা এসব নিয়ে বিএনপির সঙ্গে বসবে।
জানা গেছে, সবাই দলীয় স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থে আসন ভাগাভাগির ক্ষেত্রে ছাড় দিতে প্রস্তুত রয়েছে। এজন্য খুব সহজেই তাদের মধ্যে আসন বণ্টন নিয়ে সমঝোতা হবে। এনিয়ে কোনো প্রকার সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন না দুই জোটের নেতারা। এখন তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন মাঠে নামার।
দুই জোটের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার তাদের পরিকল্পনা একেবারে ভিন্ন। নির্বাচন বয়কট করার মতো কোনো চিন্তাই তাদের নেই। যেকোনো পরিস্থিতিতে এবার তারা নির্বাচনী মাঠে থাকবে।
ঐক্যফ্রন্টের একজন শীর্ষ নেতা বলেন, শেখ হাসিনা মনে করছিলেন যে ৭ দফা দাবি না মানলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট নির্বাচনে অংশ নেবে না। এসুযোগে তারা আবারো এরশাদসহ বি চৌধুরীকে বিরোধী দলে রেখে আরেকটি নির্বাচন করে তারা পুনরায় ক্ষমতায় চলে আসবে। কিন্তু আমরা এবার আর আওয়ামী লীগকে সহজে ছাড় দেবো না। দাবি করতে গিয়ে আন্দোলন করেও সব শক্তি ক্ষয় করবো না। আর নির্বাচন থেকেও সরে আসবো না।
তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট ইতিমধ্যেই দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছাড়া সবাই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আছে। তারপর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরাও নির্বাচনী মাঠে থাকবে। জনগণও আমাদের সঙ্গেই আছে। ডাক দিলেই মাঠে নেমে আসবে। আওয়ামী লীগ চাইলেও এবার আগের মতো ভোট ডাকাতি করতে পারবে না। প্রতিটি কেন্দ্রে কেন্দ্রে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
এদিকে ২০ দলীয় জোটের একজন শীর্ষ নেতা জানান, এবার আর আমরা নির্বাচন বয়কট করবো না। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে যে শক্তি আমরা ক্ষয় করেছিলাম এবার তা করা হবে নির্বাচনে। প্রতীক বরাদ্দের পরই ২০ দলের নেতাকর্মীরা সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামবে। আমরা আশা করি এক সপ্তাহের মধ্যেই নির্বাচনী মাঠ আমাদের অনুকূলে চলে আসবে। আর পুলিশ দিয়ে সরকার যতই হয়রানি করার চেষ্টা করুক, ২০ দলের নেতাকর্মীরা এবার মাঠ ছাড়বে না। আওয়ামী লীগের কেন্দ্র দখল, জালভোট, ব্যালট ছিনতাইসহ ভোট ডাকাতি ঠেকাতে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। এবার আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ডু অর ডাই।