অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
দশ বছর পর দেশে বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ। প্রধান দুই জোটে চলছে মনোনয়নপত্র যাছাই বাছাই। অন্যান্য ছোট ছোট দলগুলোও তাদের দলীয় মনোনয়ন প্রায় চূড়ান্ত করেছে। আর স্বতন্ত্রভাবে যারা নির্বাচন করবেন তারাও নিজ নিজ এলাকার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। বিশেষ করে বিগত ১০ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি জামায়াত জোট এখন পুরোদমে নির্বাচনমুখি। কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে এখন বিরাজ করছে ঈদের আনন্দ। এখন তারা শুধু প্রচারণার জন্য মাঠে নামার অপেক্ষায় আছেন।
এদিকে, একাদশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী জোটে আনন্দ বিরাজ করলেও হতাশা নেমে এসেছে ক্ষমতাসীনদের ঘরে। দীর্ঘ দশ বছরে তিলে তিলে সাজানো ঘরটা এখন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। বিরোধীজোট আস্তে আস্তে এমন এক ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে যা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সব কিছু তছনছ করে দিতে পারে।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় এক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট নিয়ে আওয়ামী লীগ এখন চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে শেখ হাসিনা জানতে পেরেছেন ২০১৪ সালের মতো এবার আর সহজে পার পাবেন না। ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট এবার সহজে আওয়ামী লীগকে ছাড় দেবে না। তারা এবার নির্বাচন বয়কট করবে না। কিন্তু ভোট ডাকাতি প্রতিরোধে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করবে।
বিশেষ করে গত দুই দিনের ঘটনায় আওয়ামী লীগ আরও বেশি বিচলিত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগ আমলের সাবেক অর্থমন্ত্রী এসএম কিবরিয়ার ছেলে গণফোরামে যোগ দিয়ে ধানের শীষে নির্বাচন করার ঘোষণা, সোমবার সাবেক ১০ জন সেনা কর্মকর্তার গোণফোরামে যোগ দান এবং লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তারেক রহমানের ভিডিও সাক্ষাৎকার নেয়ার ঘটনায় সরকারে তোলপাড় চলছে। সরকারের কাছে খবর আছে, সুশীল সমাজের আরও কয়েকজন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে ধানের শীষে নির্বাচন করতে পারেন।
জানা গেছে, সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগ এখন নির্বাচন নিয়ে নতুন করে হিসাব করছে। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আওয়ামী লীগ ভোট পর্যন্ত যাবে। অন্যথায় মাঝপথেই কিছু একটা ঘটাতে পারে।
রাজনীতিক বিশ্লেষকরাও মনে করছেন, আওয়ামী লীগ এমন নির্বাচন দেবে না যাতে বিএনপি জোট ক্ষমতায় বসবে। প্রয়োজনে ক্ষমতা অন্য কারো কাছে হস্তান্তর করে তারা নিরাপদে চলে যাবে।