অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে পক্ষে আর কেউই নেই। রাষ্ট্রপতির সংলাপে গিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এই ইভিএমের প্রস্তাব করার পর থেকেই রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন মহল থেকে এর বিরোধীতা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের সংলাপে গিয়েও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে ইভিএমের বিপক্ষে মত দিয়ে এসেছে।
সবাই ইভিএমের বিপক্ষে অবস্থান নিলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা একক সিদ্ধান্তে ইভিএম কেনার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। বলা যায়, সিইসি তার অসীম ক্ষমতা বলে সকল বাধা অতিক্রম করে আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
এতদিন বলা হতো যে, নির্বাচনে ভোট কারচুপির জন্য সরকার আগামী নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার করতে চাচ্ছে। কিন্তু, এখন দেখা যাচ্ছে শুধু ভোট জালিয়াতিই নয়, এর মাধ্যমে সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাটেরও ব্যবস্থা হচ্ছে।
জানা গেছে, ইভিএম প্রকল্পের জন্য ৩ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দেড় লাখ ইভিএম বাবদ খরচ ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা। প্রতিটা ইভিএম বাবদ বরাদ্দ হচ্ছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৭৩ টাকা।
এর আগে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসির জন্য যে ইভিএম তৈরি করেছিল সেটার দাম ছিল ২০-২২ হাজার টাকা। গুণগত মান হয়তো একটু খারাপ ছিল।
অপরদিকে, প্রতিবেশি দেশ ভারতে যে ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে সেটার দাম হচ্ছে ২১ হাজার ২৫০ টাকা। মানের দিক থেকে ভারত এবং বাংলাদেশের ইভিএম একই।
এখন দেখা যাচ্ছে প্রতিটি ইভিএম থেকে ক্ষমতাসীনদের পকেটে যাচ্ছে ২ লাখ ১৩ হাজার ১২৩ টাকা। এভাবে দেড় লাখ ইভিএম থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই ইভিএম প্রকল্প আবিষ্কার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়। শুধু ভোট জালিয়াতি নয়, এ থেকে মোটা অংকের টাকা লুটপাট করাও তার উদ্দেশ্য।
বিশিষ্টজনেরা বলছেন, ইভিএম হলো সরকারের লুটপাটের আখেরি প্রকল্প। নির্বাচন না হলেও সরকারের লস নেই। টাকা যা হাতিয়ে নেয়ার তা তারা নিচ্ছে। আর এই টাকা একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয়ের পকেটেই যাবে। এতে অন্য কেউ ভাগীদার হতে পারবে না।