অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর এবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তাদের পরম বন্ধু ভারত। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো এবার আর একতরফা নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করবে না ভারত। ইতিমধ্যে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম থেকেই আগামী নির্বাচন নিয়ে ভারতের সঙ্গে দেনদরবার করে আসছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ভারত সফরে গিয়েও ক্ষমতাসীন বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ’র দেখা পায়নি। ওই সময় আওয়ামী লীগ যে উদ্দেশ্য নিয়ে ভারত সফরে গিয়েছিল তা বাস্তবায়ন হয়নি।
অ্যানালাইসি বিডির একটি অনুসন্ধানি প্রতিবেদনে তখনই আমরা বলেছিলাম যে, আগামী নির্বাচন নিয়ে ভারত আওয়ামী লীগকে কোনো আশ্বস্ত করেনি। ব্যর্থ মনোরথ নিয়েই কাদেররা ভারত থেকে দেশে ফিরে এসেছিলেন।
এরপর কলকাতায় বঙ্গবন্ধু ভবন উদ্বোধন করতে গিয়ে শেখ হাসিনা মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকেও মোদি তাকে আগামী নির্বাচন নিয়ে কিছু বলেন নি।
সম্প্রতি বিমসটেক সম্মেলনে গিয়েও মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনা বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকেও আগামী নির্বাচন নিয়ে মোদি হাসিনাকে কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম ঢাকাস্থ ইনডিয়ান হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকেও আগামী নির্বাচন নিয়ে ইতিবাচক কিছু পাননি তিনি।
অপরদিকে ভারতীয় হাইকমিশনের একটি সূত্রে জানা গেছে, ভারত সরকার আওয়ামী লীগের নেতাদেরকে স্পষ্ট বলে দিয়েছে যে, আগামীতেও আমরা তোমাদেরকে চাই। তবে সেটা হতে হবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে। বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে হবে। ৫ জানুয়ারির মতো কোনো বিতর্কিত নির্বাচনে সহযোগিতা করা আমাদের পক্ষে এবার সম্ভব নয়।
এরপর এই সংবাদের সত্যতা পাওয়া গেছে ভারতের সাবেক কূটনীতিক ও দেশটির বর্তমান থিংকট্যাংক হিসেবে পরিচিত পিনাক রঞ্জনের লেখা থেকে। তিনি ভারত সরকারের একজন থিংকট্যাংক হিসেবেই পরিচিত। আওয়ামী লীগের সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি আর মানবাধিকার লংঘণের কারণে ভারত সরকার এবার সমর্থন প্রত্যাহার করে নিচ্ছে বলেও তিনি তার লেখায় উল্লেখ করেছেন।