অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
রাজধানীতে টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২ জন ছাত্রকে গ্রেপ্তারের ৩ দিন পরও অস্বীকার ও আদালতে হাজির না করায় উদ্ধেগ প্রকাশ এবং অবিলম্বে তাদের সন্ধান দাবী করেছে গ্রেফতারকৃত ছাত্রদের পরিবারবৃন্দ।
জানা যায় গত ৫ সেপ্টেম্বর দিবগত রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে বহু ছাত্রকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। তাদের মধ্যে ডিবি কার্যালয় থেকে অনেককে ছেড়ে দিলেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১২ জন ছাত্রকে তিনদিন পরও এখনো আটক রেখেছে। যারা অনেকেই রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র।
তাদের মধ্যে রয়েছেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ছাত্র- মেহেদী হাসান রাজিব, ইফতেখার আলম, রায়হানুল আবেদীন জুয়েল, তারেক আজিজ, সজিব, মোঃ জহিরুল ইসলাম হাসিব, ইফতেখার আলম, রায়হানুল আবেদীন জুয়েল, তারেক আজিজ, বোরহান উদ্দিন, মুজাহিদুল ইসলাম, মাহফুজ আহমেদ, মেহেদী হাসান রাজিব, সরকারী তিতুমীর কলেজের ছাত্র-সজিব, জাহাঙ্গীর আলম, সরকারী সাদাত কলেজের ছাত্র সাইফুল্লাহ বিন মানসুর, ভার্সিটি ভর্তিচ্ছুক- জহিরুল ইসলাম হাসিব ও আল আমিন।
গ্রেফতারকৃত অবিভাবকদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও তাদের সন্তানদেরকে আদালতে হাজির করেনি পুলিশ। অথচ গতকাল তাদের ব্যাপারে ডিবি কার্যালয়ে অভিভাবকরা যোগাযোগ করলে তারা জানায় আজ তাদের আদালতে হাজির করবে। কিন্তু আজও ছাত্রদেরকে আদালতে হাজির করা হয়নি। পুলিশ কর্মকর্তারা কখনো আশ্বাস দিচ্ছে আবার কখনো গ্রেপ্তারের কথা অস্বীকার করছে। যা পরিবারের উদ্ধেগকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।
গ্রেফতারকৃত মুজাহিদুল ইসলামের পিতা মাহবুবুল আলম বলেন- আমার সন্তানকে গ্রেপ্তারের পর অস্বীকার, দেখা করতে না দেয়া এবং আদালতে হাজির না করা প্রচলিত আইনে বেআইনি। এমনকি উচ্চ আদালতের নির্দেশেরও সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। যা অস্বাভাবিক বিষয়। আমি আমার সন্তানকে নিয়ে শঙ্কিত।
গ্রেফতারকৃত জহিরুল ইসলাম হাসিবের পিতা একজন শিক্ষক, তিনি সন্তানের গ্রেফতারের কথা শুনে সকালে ঢাকা আসেন। তিনি বলেন আমার সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ের কোচিং করার জন্য ঢাকায় এসে মেসে উঠে। কোন রাজনীতির সাথে জড়িত না। সারাদিন ডিবির কার্যালয়ে ঘুরাঘুরি করার পরও সন্তানের কোন খোঁজ পায়নি।
অবিভাবকগন বলেন, যাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, আমাদের সন্তানদেরকে ডিবি কার্যালয়ে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সকল আইনি সুবিধা গ্রহণ করার অধিকার আমাদের আছে। কিন্তু এখানে আইনি অধিকার থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা দাবি করছি। একই সাথে অবিভাবকগন সন্তানদের সন্ধানের জন্য সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।