বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, যে দেশে নির্বাচিত সরকার থাকে না, সেই দেশে কেউ কারও কথা শোনে না, এটাই স্বাভাবিক। সরকার যেমন বেপরোয়া হয়ে ক্ষমতায় থাকতে চাইছে, তেমনি গাড়িচালকরাও বেপরোয়া হয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন। আজ সময় এসেছে বেপরোয়া সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করার।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
‘অর্পণ বাংলাদেশ’এর উদ্যোগে বিরোধী আন্দোলনে গুম হওয়া নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান উপলক্ষে সভার আয়োজন করা হয়। সংগঠনটির সভানেত্রী বীথিকা বিনতে হোসাইনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদি লুনা, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সমালোচনা করে মোশাররফ হোসেন বলেন, বাসের ঘাতক চালক যখন দুই শিক্ষার্থীকে হত্যা করল, তখন সারা জাতি শোকে মুহ্যমান। অথচ এ খবর শুনে শাজাহান খান অট্টহাসি দিলেন। এ হাসি প্রমাণ করে তারা কত নৃশংস।
দুই আন্দোলনের শিক্ষা থেকে সরকার পতনের আন্দোলন: নজরুল
কোটা সংস্কার আন্দোলন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের দৃষ্টান্ত সামনে নিয়ে আগামী দিনে ২০ দলীয় জোট সরকার পতনের আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, সব পরিস্থিতি ও অভিজ্ঞতা আমাদের পক্ষে। এই সরকারের পায়ের নিচের মাটি একেবারে নড়বড়ে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এরা (সরকার) নতি স্বীকার করেছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখেও এরা নতি স্বীকার করেছে। আমরাও (২০ দলীয় জোট) রাস্তায় নামলে এরা নতি স্বীকার করে পালিয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তার প্রক্ষাপটে জাতীয় নির্বাচনকালীন ব্যবস্থা’ শীর্ষক সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি। দলটির সভাপতি আবু তাহের চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন মহাসচিব আবুল কাশেম, ডিএল’র সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি, এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈশা, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ।
তিনি বলেন, এ সরকার স্বভাবজাতভাবে ছাত্রদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সরকার রাগ-অনুরাগে কোনো সিদ্ধান্ত নিবেন না বলে শপথ করলেও, সরকারপ্রধান কথা রাখেননি। প্রধানমন্ত্রী শপথ ভঙ্গ করেছেন সুতরাং তার পদত্যাগ করা উচিত।
সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সর্বপ্রথম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে এবং বর্তমান মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।
সূত্র: যুগান্তর